Brain Eating Amoeba: তিন মাসে তিন মৃত্যু। ভারতের কেরলে গত তিন মাসে মস্তিষ্কখেকো অ্যামিবার (Brain Eating Amoeba Death) আক্রমণে মারা গিয়েছেন এরাই। পড়তে বা শুনতে খুব বেশি মনে হয় না। মনে হয় না এমন কিছু মারাত্মক জীবাণু এই ব্রেন ইটিং অ্যামিবা। কিন্তু এই ভাবনাটাই মস্ত বড় ভুল বলে প্রমাণ করতে পারে নাইগ্লেরি ফাউলেরি - আদতে যাকে ব্রেন ইটিং অ্যামিবা বলে ডাকা হচ্ছে। 


কেন এই অ্যামিবা নিয়ে এত হইচই


ব্রেন ইটিং অ্যামিবা বা মস্তিষ্কখেকো অ্যামিবার সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছেন, এমন খুব একটা শোনা যায় না। কারণ চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাস বলছে, খুব বেশি কেউ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হননি। কিন্তু যে ক’জন এর শিকার হয়েছেন, তাদের মধ্যে কেউই বাঁচেননি। কারণ এই ভাইরাসের সংক্রমণ বুঝতে বুঝতেই চলে যায় সময়। সাধারণ জ্বর, সর্দি, মাথা ব্যথাই কাল হয়ে দাঁড়ায়। যেহেতু সংক্রমণের সংখ্যা খুবই কম, তাই চিকিৎসকদের ধারণাতেও সহজে ব্রেন ইটিং অ্যামিবার কথা আসে না। সাধারণ, ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া বা অন্যান্য ধরনের জ্বরের পরীক্ষা করতে করতে সময় চলে যায়।


অ্যামিবা আক্রান্ত রোগীর বাঁচার আশা কতটা


কিন্তু বিজ্ঞান বলছে, সঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু হলে রোগীকে বাঁচানো গেলেও যেতে পারে। কিন্তু সঠিক সময় আজ পর্যন্ত প্রতিবারই পেরিয়ে গিয়েছে, ফলে খবরে বেড়েছে মৃতের শিরোনাম। আর ঠিক এখানেই বিষয়টি উড়িয়ে দেওয়ার মতো ব্যাপার নয়।


কীভাবে সংক্রমণ ছড়ায় ?


সাধারণত ট্যাপকলের জল বা পুকুর বা জলাশয়ের জল থেকে এই অ্যামিবা শরীরে প্রবেশ করে। মূলত জলের মাধ্যমে নাক দিয়েই সোজা মস্তিষ্কে পৌঁছায় এটি। সেখানে গিয়ে ব্রেনের স্তর ও কোশ কোশ ধীরে ধীরে নষ্ট করতে থাকে। ঠিক সময়ে চিকিৎসা না করানো হলে রোগী খুব বেশি হলে ২ সপ্তাহ বাঁচেন।


কী কী উপসর্গ ?



  • প্রচণ্ড মাথা ব্যথা

  • প্রচণ্ড জ্বর

  • কিছুক্ষেত্রে সর্দিকাশি

  • গায়ে প্রচণ্ড ব্যথা


এই সংক্রমণ এড়াতে কী কী করণীয়



  • ট্যাপকলের জল দিয়ে নাক ধোয়া একেবারেই বন্ধ করতে হবে।

  • পুকুরে স্নান, সাঁতার কাটা বা খেলার মতো ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে। নাক দিয়ে জল যাতে শরীরে না যায়, দেখতে হবে সেটাও। 

  • জল ক্লোরিন ট্যাবলেট দিয়ে ফিল্টার করে তবেই নাকমুখ ধুতে ব্যবহার করুন। দরকারে ওয়াটার পিউরিফায়ারের জল ব্যবহার করুন।


কারও কারও শরীরে অ্যান্টিবডি


মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও এই অ্যামিবা চিন্তার কারণ। সেখানে বেশ কিছু ব্যক্তিকে পরখ করে দেখা যায়, রোগী আক্রান্ত হলেও বেঁচে গিয়েছেন কারণ তার শরীর অ্যান্টিবডি তৈরি করে ফেলেছে। কিন্তু সব ক্ষেত্রে তেমনটা নাও হতে পারে।


আরও পড়ুন -Onion Price Hike: কবে কমবে পিঁয়াজের দাম ? কী বলছে সরকার


আপনার পছন্দের খবর এবার হোয়াটসঅ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে।