কলকাতা: ভাত (Rice) নাকি রুটি (Roti), কোন খাবারটি খেতে বেশি পছন্দ করেন? (Health Tips) যেটাই করুন। আপনি কি জানেন, ভাত আর রুটির মধ্যে কোনটা বেশি উপকারি? আর পাঁচজন সাধারণ মানুষের থেকে খাদ্যাভ্যাস অনেকটাই আলাদা হয় মধুমেহ (Diabetes) রোগীদের ক্ষেত্রে। সুগার ধরা পড়লেই অনেকে ভাত ছেড়ে রুটি, পাঁউরুটি বা ওই জাতীয় আটা-ময়দার তৈরি খাবারের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। অনেকেরই ধারণা রয়েছে, মধুমেহ ধরা পড়লে ভাতের বদলে রুটি খেলেই শরীর সুস্থ আর ঝরঝরে থাকে। রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভাতের বদলে রুটি খাওয়াই উপকারি এবং উপযুক্ত বলে মনে করেন। মধুমেহ রোগীরা তাহলে কোনটা খাবেন? ভাত নাকি রুটি?


ভাত নাকি রুটি, মধুমেহ রোগীদের জন্য কোনটা বেশি উপকারী?


১. বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, গমে থাকা গ্লুটেন নামের উপাদান হজম হতে অনেকটাই সময় নেয়। এই গ্লুটেন হজম হওয়া মানেই রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে শুরু করে। ফলে ইনসুলিনের ক্ষরণও বেড়ে যায়। ফলে টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বহুগুণ বেড়ে যায়। সেই জন্যই যাঁদের পরিবারে ডায়াবেটিসের রোগী রয়েছেন, চিকিৎসকেরা তাঁদের গমের তৈরি খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।


২. গবেষকরা বলেছেন, আটা বা ময়দা দিয়ে তৈরি খাবার খাওয়ার পর শরীরে পরিপাক ক্রিয়ায় বেশ কিছু পরিবর্তন হয়। পরিপাক ক্রিয়ায় এই পরিবর্তনের প্রভাবে শরীরের বিশেষ কিছু হরমোনের ক্ষরণ অনেকটা বেড়ে যায়। এর ফলে মানসিক অবসাদ বা ডিপ্রেশন, রক্তে সুগার ও কোলেস্টেরলের মাত্রা অনেকটাই বেড়ে যায়।


আরও পড়ুন - Poppy Seeds: পোস্তোর রকমারি উপকারিতা সম্পর্কে রইল চমকদার তথ্য


৩. বিশেষজ্ঞদের মতে, গমের তৈরি খাবার খেলে কোলেস্টেরলের সমস্যাও বৃদ্ধি পেতে পারে। তাছাড়া, গমের তৈরি খাদ্য উপাদান ত্বকের বয়স বাড়িয়ে দিতে পারে। ত্বক কুচকে যায়। এ ছাড়াও গমের তৈরি খাবার-দাবার বেশি পরিমাণে খেলে অকালে চুল ঝরে গিয়ে টাক পড়ে যাওয়ার সমস্যাও দেখা দিতে পারে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, আটা-ময়দা দিয়ে তৈরি কোনও খাবার খেলে খাওয়ার পর ওজন বাড়তে শুরু করে। বেড়ে যায় উচ্চ রক্তচাপের সমস্যাও।


৪. বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মধুমেহ রোগীরা ভাত অবশ্যই খেতে পারেন। কিন্তু তা সাদা ভাত হলে চলবে না। তার পরিবর্তে বেছে নিন ব্রাউন রাইস। এছাড়া, শরীর অনুযায়ী, ভাত খাওয়ার আগে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিতে ভুলবেন না।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।