কলকাতা: সারাক্ষণ চিৎকার চেঁচামেচি (Sreaming) করছেন? কোনও বিষয়েই মাথা ঠান্ডা রাখতে পারছেন না? পরিস্থিতি হাতের বাইরে গেলেই জোরে গলায় কথা বলছেন? মেজাজ নিয়ন্ত্রণে (Temper Lose) থাকছে না কিছুতেই? জানেন আপনার এই আচরণ কোন মারাত্মক অসুখ ডেকে আসছে? সারাক্ষণ চিৎকার, চেঁচামেচি, মেজাজ হারানোর ফলে কোন মারাত্মক রোগের শিকার হতে পারেন, সে সম্পর্কে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।


সারাক্ষণ চিৎকার - চেঁচামেচি করলে কী হবে?


রাগ, দুঃখ, অভিমান, হাসি, কান্না সমস্ত কিছুই আমাদের আবেগের মধ্যে পড়ে। এক এক জন মানুষের আবেগ এক এক প্রকার হয়। কারও আবেগ বেশি, কারও আবার কম। কেউ আবেগপ্রবণ হয়ে কেঁদে ফেলেন। আবার কেউ আবেগের বশেই মারাত্মক রেগে যান। কিন্তু যাঁরা মেজাজ ঠান্ডা রাখতে পারেন না কিছুতেই, তাঁদের জন্য আশঙ্কার খবর শোনাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, সারাক্ষণ চিৎকার করা কথা বলা, চেঁচামেচি করা, মেজাজ ঠিক রাখতে না পারার অভ্যাস প্রভাব ফেলছে আপনার হৃদপিণ্ডে। নিজের অজান্তেই নিজের মারাত্মক ক্ষতি করে ফেলছেন। কারণ, আপনার এই রাগ (Anger), মেজাজ শান্ত রাখতে না পারা, চিৎকার করার অভ্যাসই আপনাকে হৃদরোগের শিকার করে তুলতে পারে। এই সমস্ত আচরণগুলির জন্য বেড়ে যায় হার্ট অ্যাটাকের (Heart Attack) প্রবণতা।


আরও পড়ুন - Blood Pressure: ওষুধ নয়, এই একটা জিনিসেই নিয়ন্ত্রণে থাকবে রক্তচাপ


বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সম্প্রতি একটি সমীক্ষা প্রকাশ হয়েছে। যেখানে দেখা গিয়েছে, যাঁরা বেশি চিৎকার করেন, কথায় কথায় রেগে যান, রাগ সংযত করতে পারেন না, তাঁদের মধ্যে হৃদরোগে প্রভাব বেড়েছে বেশি মাত্রায়। তাঁরা অনেক বেশি হার্ট অ্যাটাকের শিকার হয়েছেন। এর জন্য খাদ্যাভ্যাস, লাইফস্টাইলে যেমন নজর দিতে হবে। তেমনই প্রতিদিন শরীরচর্চাও করতে হবে। প্রাণায়াম করতে হবে। যাতে মস্তিষ্ক সচল থাকে এবং তাতে নিয়ন্ত্রণ থাকে। একাগ্রতা, সংযম বৃদ্ধি করতে প্রাণায়ামের জুড়ে মেলা ভার। এরইসঙ্গে মদ্যপান ত্যাগ করার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। সমীক্ষায় রাগের সঙ্গে হৃদরোগের অনেক যোগসূত্র পেয়েছেন গবেষকরা। রাগ হৃদরোগের ঝুঁকি মারাত্মক হারে বাড়িয়ে দেয়। তাই এখন থেকে হৃদরোগ প্রতিরোধ করতে রাগ সংযত রাখুন। শান্ত থাকার চেষ্টা করুন। এমনই পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।