কলকাতা: সার্নের প্রযুক্তি তৈরি করা হয়েছিল বেশ কয়েক বছর আগে। ঈশ্বর কণার খোঁজে তৈরি হয়েছিল এই বিশেষ প্রযুক্তি। ২০১২ সালে সেই কণার খোঁজ পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করেছিলেন সার্নের বিজ্ঞানীরা। রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছিল সেই আবিষ্কার নিয়ে। সেই সার্নই এবার তৈরি করল আরেকটি বিশেষ যন্ত্র। যা সরাসরি ব্রেন টিউমারের কাজে লাগে। সার্নের তৈরি করা ওই যন্ত্র দিয়ে জার্মান চিকিৎসকরা ক্যানসার রোগীর চিকিৎসা করা শুরু করেছেন। পার্টিকল ডিটেকটর যন্ত্রটি একটি বিশেষ কণাকে চিনতে পারে। যার সাহায্যে বোঝা যায় চিকিৎসা ঠিক পথে এগোচ্ছে কি না।
কেন এই যন্ত্র এত জরুরি ?
এর জন্য় ক্যানসারের কিছু জিনিস আগে জেনে নিতে হবে। ক্যানসারে একটি টিউমার হয়। সেই টিউমার চিকিৎসকরা কখন কখনও অস্ত্রোপচার করে বাদ দেন। এর পর রেডিয়েশন, কেমোথেরাপি ইত্যাদি চলে। কিন্তু এই রেডিয়েশনের টিউমারের আশেপাশের বেশ কিছু সুস্থ কোশের ক্ষতি হয়। যা রোগীকে কাহিল করে দেয়। অনেক রোগীই এই রেডিয়েশন সহ্য করতে পারেন না। এই সমস্যারই সুরাহা করতে চলেছে পার্টিকল ডিটেকটর যন্ত্র।
সিটি স্ক্যানও ঠিকভাবে বলতে পারে না
সিটি স্ক্যানও ঠিকভাবে টিউমারের অবস্থান বলতে পারে না। কারণ সিটি স্ক্যান করা হয় অস্ত্রোপচারের আগে। আর অস্ত্রোপচারের পর বদলে যায় অঙ্গটির দশা। অপারেশনের পর কোনও ক্যানসার কোশ রেডিয়েশন দিয়ে তাকে মারা হয়। এই সময়ই দরকার কোশগুলির নির্দিষ্ট অবস্থান বোঝার। কিন্তু সেটি বুঝতে সমস্যা হয়। ব্রেন টিউমার হলে তো আর কথাই নেই। একটু ভুলের জেরে রোগীর স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়াসহ অন্য অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
পার্টিকল ডিটেকটর কী করবে
সুস্থ কোশের উপর রেডিয়েশন দিলে একধরনের কণা নির্গত হয়। সেই কণাগুলিকে চিনতে পারে পার্টিকল ডিটেকটর। কণাগুলি চিনে নিয়ে তাদের দেখিয়ে দেয় চিকিৎসকের কাছে। রেডিয়েশনের সময় সুস্থ কোশগুলির উপর রেডিয়েশন পড়লে সেই কণা নির্গত হবে। ফলে তৎক্ষণাৎ সাবধান হয়ে যাবেন চিকিৎসকরা। এই প্রক্রিয়ায় আরও নির্দিষ্ট ভাবে ক্যানসার কোশ খুঁজে বার করা সম্ভব বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন জার্মান চিকিৎসকরা। একই সঙ্গে তাদের কথায়, এতে রোগীদের রেডিয়েশনের ক্ষতিকর দিক থেকে বাঁচানো সহজ হবে।
আরও পড়ুন - Health News: ভাত, রুটি থেকে মিলছে না আগের মতো পুষ্টি! দায়ী নাকি শস্যই