কলকাতা: শীতকাল কেটে গরমকাল (Summer) পড়ে গিয়েছে। চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময় থেকেই বেশ গরম অনুভূত হচ্ছে। দিনের বেলা বাইরে বেরলেই দরদর করে ঘেমে যাচ্ছেন। আর ভোরের দিকে হালকা ঠান্ডা লাগছে। এমন পরিস্থিতিতে শরীর খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে মারাত্মক। গরমকালে রোদ কিংবা আবহাওয়ার কারণে শরীর গরম হয়ে যায়। জল খেয়েও যেন তৃষ্ণা মিটছে না। এমন পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা বেশ কিছু খাবারের পরামর্শ দিচ্ছেন, যা স্বাভাবিকভাবেই শরীরকে ঠান্ডা রাখে।


গমরকালে শরীর ঠান্ডা থাকবে যে খাবারগুলি খেলে-


১. ডাবের বা নারকেলের জল- বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, গরমকাল ডাবের কিংবা নারকেলের জল খাওয়ার প্রবণতা দেখা দেয় বহু মানুষের মধ্যে। শরীরের জন্য এটি অত্যন্ত উপকারী। প্রাকৃতিক উপায়ে শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে এটি। এতে থাকা উপকারী উপাদান শরীরে জলের চাহিদা পূরণ করে। তার সঙ্গে শরীর ময়শ্চারাইজ রাখতে সাহায্য করে। এবং হজমের জন্যও সহায়ক।


২. তরমুজ- ফলের মধ্যে তরমুজ এমন একটি যা শরীরে জলের চাহিদা পূরণ করে। শুধু জল খেয়ে অনেক সময়ই তৃষ্ণা মেটে না। তাই গরমকালে তরমুজ খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস। যা স্বাভাবিকবাবে শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। ছোট থেকে বড় সকলের স্বাস্থ্যের জন্যই এটি অত্যন্ত উপকারী।


আরও পড়ুন - Health Tips: সারাদিন কম্পিউটারের সামনে কাজের ফলে চোখ জ্বালা করছে? রইল ঘরোয়া সমাধান


৩. পেঁয়াজ- গরমকালে সানস্ট্রোক হওয়া থেকে প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে পেঁয়াজ। রোজকার খাবারের তালিকায় রাখাই হয়। রান্নায় ব্যবহার হয়। কিন্তু পেঁয়াজ শুধুই রান্নায় স্বাদ বাড়াতে সাহায্য করে না। এর রয়েছে অনেক উপকারিতাও। এতে থাকা অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান শরীরে প্রদাহ রোধ করতে সাহায্য করে। কাঁচা খান কিংবা রান্না করে, পেঁয়াজ গরমকালে শরীরের জন্য দারুণ উপকারী।


৪. ছাতু- গরমকালে হামেশাই চারপাশে ছাতুর সরবত বিক্রি হতে দেখা যায়। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ছাতু শরীরের জন্য যেমন উপকারী, তেমন শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। মধু, চিনি, বা গুড় মিশিয়ে ছাতু খেতে পারেন। 


৫. এছাড়াও পুদিনা পাতা, অ্যাভোক্যাডো, বাটার মিল্ক প্রভৃতি খেতে পারেন গরমকালে। শুধু এগুলো মেনে চললেই চলবে না। তার সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণে জলও খেতে হবে নিয়ম করে। করতে হবে শরীরচর্চা। তবেই সুস্থ থাকবে শরীর।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।