কলকাতা: বর্তমাণে অল্প বয়সীদের মধ্যে ব্যাপকভাবে বেড়েছে হৃদরোগের (Heart Disease) ঝুঁকি। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, স্বাস্থ্যের নানা সমস্যার জন্যই স্ট্রোক থেকে হার্ট অ্যাটাকের মাত্রা বেড়েছে কমবয়সীদের মধ্যে। তবে শুধুই শারীরিক সমস্যার জন্য নয়। সম্প্রতি গবেষকদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে, মানসিক স্বাস্থ্যেরও (Mental Health) ব্যাপক প্রভাব পড়েছে হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে। 


অবসাদের কারণে বেড়েছে হৃদরোগের ঝুঁকি-


আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রকাশ করা জার্নালে গবেষকরা মানসিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধির বিভিন্ন তথ্য প্রকাশ করেছেন। তাঁদের মতে, যখন কোনও ব্যক্তির মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক থাকে না। সেই ব্যক্তি যখন স্ট্রেসে ভোগে, অবসাদে (Depression) আক্রান্ত হয় কিংবা উদ্বেগ দেখা দেয়, তখন তাঁর হৃদস্পন্দন ও রক্তচাপ বেড়ে যায়। আর এর ফলেই ক্রমশ বাড়ছে হৃদরোগের ঝুঁকি। গত কয়েক বছরে কমবয়সী বা তরুণ প্রজন্মের মধ্যে মানসিক সমস্যা দেখা দিয়েছে মারাত্মক হারে। আর তার প্রভাবই পড়ছে হৃদপিণ্ডে। এর পাশাপাশি গবেষকরা আরও জানাচ্ছেন যে, অস্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইলও মানসিক স্বাস্থ্য এবং তার সঙ্গে জড়িয়ে থাকা হৃরোগের জন্য দায়ী। অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা বলতে তাঁরা ধূমপান, মদ্যপান, কম ঘুম এবং শরীরচর্চা না করাকে বুঝিয়েছেন। তাঁদের মতে, অত্যধিক মাত্রায় ধূমপান করা, মদ্যপান করা, নিয়মিত শরীরচর্চা না করা এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হওয়ার ফলে ক্ষতিকর প্রভাব পড়েছে মানসিক স্বাস্থ্যে। আর এই সমস্ত কিছুর ক্ষতিকর প্রভাব পড়েছে আমাদের হৃদপিণ্ডে। যার ফলস্বরূপ বেড়েছে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকের মতো মারাত্মক অসুখ। এই সমস্যা বড়দের তুলনায় বেশি দেখা গিয়েছে কমবয়সীদের মধ্যে। 


আরও পড়ুন - Dark Chocolate: ডার্ক চকোলেট খাওয়ার ক্ষতিকর দিকগুলো কী কী?


বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, হৃদরোগের ঝুঁকিকে আরও বাড়িয়ে দেয় উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল, অত্যধিক ওজন, ওবেসিটি, মধুমেহ এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস। হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখতে, হৃদরোগ প্রতিরোধ করতে নজর দিতে হবে খাদ্যাভ্যাস এবং লাইফস্টাইলে। তরুণ প্রজন্ম ব্যস্ততার কারণে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমোচ্ছে না। এর ফলেও বাড়ছে নানা শারীরিক সমস্যা। সঠিকভাবে শরীরচর্চাও না করার ফলে তার ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে। গবেষকদের মতে, এই সমস্যা আরও বেশি করে দেখা গিয়েছে করোনা অতিমারির পরবর্তী পর্যায়ে। তাঁরা জানাচ্ছেন, করোনা সংক্রমণের চিন্তা, কাজ হারানোর আশঙ্কা, লকডাউন এবং করোনার সময় ও তার পরবর্তী সময়ের নানা সমস্যার কারণে ব্যাপক ক্ষতিকর প্রভাব পড়েছে কমবয়সীদের মধ্যে। যার ফলে তাদের মধ্যে বেড়েছে মানসিক সমস্যাও। আর এর ফলেই তাঁরা আক্রান্ত হয়েছে অবসাদে। বেড়েছে স্ট্রেস ও উদ্বেগের মতো মানসিক সমস্যা। যা নিঃশব্দে বাড়িয়ে দিয়েছে হৃদরোগের ঝুঁকিকে।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।