কলকাতা: কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। তার জন্য় নানা ওষুধ থেকে ঘরোয়া টোটকার উপরেও ভরসা রাখেন। কিন্তু শিশুদেরও এই একই সমস্যা হতে পারে। শিশুদের মধ্যেও কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার প্রবণতা থাকে। একাধিক বিশেষজ্ঞদের মতে, কোষ্ঠকাঠিন্য শিশুদের (constipation in children) মধ্য়ে প্রায়ই দেখা যায়। কিন্তু এটি ক্রনিক হয় না। অর্থাৎ দীর্ঘদিন ধরে থাকে না। শুধু লক্ষণ দেখে দ্রুত সেটি চিনে নেওয়া জরুরি। শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কী কী লক্ষণ দেখা দিতে পারে ? কেনই বা হয় ? জেনে নেওয়া যাক বিশদে।
কেন কোষ্ঠকাঠিন্য হয় শিশুদের ?
- খাওয়াদাওয়া কোষ্ঠকাঠিন্যের একটি বড় কারণ। বেশি পরিমাণে জাঙ্ক ফুড, ফাস্ট ফুড খেলে, এই সমস্যা হতে পারে।ফাইবার জাতীয় খাবার কম খাওয়ার ফলেই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়ে।
- মানসিক চাপ থেকেও কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে শিশুদের। স্কুল, পরিবারের নানা ঘটনা থেকে এটি প্রায়ই হয়।
- টয়লেট ট্রেনিং ঠিকমতো না হলেও শিশুদের মধ্যে এই সমস্যা দেখা দেয়।
শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্যের লক্ষণ (constipation in children signs)
- কোষ্ঠকাঠিন্য হলে শিশুর পেটে ব্যথা বেড়ে যায়। ঘন ঘন সেই নিয়ে অভিযোগ কানে আসতে পারে।
- শিশুর মলত্যাগের হারও কমে যায়। সপ্তাহে তিনবারের কম মলত্যাগ হলে বুঝতে হবে কোষ্ঠকাঠিন্য়ের সমস্যা কাবু পরিবারের ছোট্ট সদস্য।
- মলত্যাগের সময় মলদ্বারে ব্যথা হতে পারে। সেই ভয়ে অনেকে মলত্যাগ করতে চায় না।
- আবার কোষ্ঠকাঠিন্য হলে প্রচন্ড চাপ দিয়ে মলত্যাগ করতে হয়। সেই পরিশ্রমের কাজও অনেকে এড়িয়ে যেতে চায়। তেমন ঘটনা দেখতে পেলে সতর্ক হওয়া জরুরি।
- মলত্যাগের সময় রক্ত বেরোতে পারে কিছু শিশুর। সেটিও কিন্তু কোষ্ঠকাঠিন্যের লক্ষণ। তাই এমন লক্ষণ দেখলেও সতর্ক হতে হবে।
কী করলে কমবে কোষ্ঠকাঠিন্য (constipation in children home remedies)
কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে রোজকার কিছু অভ্য়াসে বদল আনা জরুরি। এর জন্য প্রথমেই খাবার দাবার খাওয়াতে বদল আনতে হবে। বাবা-মাকেও এদিকে নজর রাখতে হবে।
- বেশি পরিমাণে ফাইবারজাতীয় খাবার যেমন ফল, শাকসবজি খেতে হবে শিশুকে। অনেকেই এগুলি খেতে চায় না। তাদের রঙবেরঙের বিভিন্ন ফল মিশিয়ে মুখরোচক করে খাওয়ানো যেতে পারে।
- শিশু মানসিক কোনও সমস্যায় ভুগছে কি না সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। নিয়মিত খোঁজ রাখতে হবে তাঁর মনের।
- নজর দিতে হবে শিশুর টয়লেট ট্রেনিংয়ে। সময় দিয়ে এই ব্যাপারটিতে অভ্যস্ত করাতে হবে খুদেকে।
- পরিস্থিতি গুরুতর হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আরও পড়ুন - Health Tips: পেস্ট দিয়ে মেজেও ঝকঝকে সাদা হয় না দাঁত ? ৪ ঘরোয়া উপকরণেই কাজ হবে