কলকাতা: উচ্চ পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবারের কথা এলেই আমরা ভাবতে থাকি কীভাবে ভিটামিন, প্রোটিন পাব। কোন কোন খাবার থেকে সহজেই পুষ্টি মিলবে। Minerals থেকে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট-সব কিছু নিয়েই আমরা খোঁজ করতে থাকি। এই পুষ্টি সহজেই পাওয়া যাবে কিছু পানীয় থেকে। প্রতিদিন খাবারের সঙ্গে সেগুলি নিলে পুষ্টিগুণ তো মিলবেই, তার সঙ্গে শরীরে জলের পরিমাণেও ভারসাম্য থাকবে। কোনও দামি বা দুষ্প্রাপ্য জিনিস নয়, সাধারণ বাজার-হাট থেকেই মিলবে সেই সামগ্রী। প্রতিদিনের জীবনে ক্লান্তি দূর করতে, এনার্জি পেতে এবং পর্যাপ্ত পুষ্টি পেতে ভরসা করা যাবে সেই পানীয়গুলিতে।
অনেকসময়েই মনে হয় এমন দামি পানীয় মানেই বহুমূল্যের কোনও জিনিস হবে। কিন্তু তা একেবারেই নয়। প্রতিদিন রান্নার কাজে ব্যবহার হয় এমন সামগ্রী দিয়েই তৈরি হবে সম্পূর্ণ ভারতীয় এই পানীয়। যা আপনাকে সুস্থ রাখতে সাহায্য় করবে। সেগুলি কী কী?
আমলকি-আদার রস:
প্রতিদিন খাওয়া যায় এই পানীয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এটি। প্রদাহরোধী এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধেও লড়তে পারে। প্রতিদিনের ডায়েটে যোগ করা যায় আমলকি-আদার রস। এর মধ্যে আমলকি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে। অন্যদিকে আদায় প্রদাহরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এতে হজমশক্তিও ভাল হয়।
শতাভারী ভেজানো জল:
শতাবারী বা শতাভরী একটি গুরুত্বপূর্ণ ওষধি গাছ। মূলত মহিলাদের বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় কারণে এর ব্যবহার রয়েছে। স্তন্যদানের সময়টায় এটি নানা ভাবে সাহায্য করতে পারে। এটি হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। নানা উদ্বেগ থেকেও মুক্তি মেলে বলে বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি। হাঁপানি এবং ব্রঙ্কাইটিসের মতো শ্বাসযন্ত্রের সমস্যাগুলিতেও সহায়তা করে শতাভারী ভেজানো জল।
ছাতু:
প্রতিদিন যে পরিমাণ প্রোটিন দেহের জন্য প্রয়োজন। তার অনেকটাই পূরণ করতে পারে ছাতুর সরবত। ছোলা থেকে ছাতু প্রোটিনের অত্যন্ত ভাল উৎস। এটি শরীরে প্রয়োজনীয় অ্যামাইনো অ্যাসিড সরবরাহ করতে পারে। ছাতু সারাদিন ধরে শক্তি জোগাতে পারে। চট করে পেট ভরানোর জন্য, ফ্যাটবর্জিত খাবার খেতে গেলে ছাতু অন্যতম বিকল্প। ফাইবার থাকায় এটি পেটের জন্যও ভাল। ক্যালসিয়াম এবং পটাসিয়ামের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য় করে। পেশি গঠনের জন্যও উপকারী।
হুইটগ্রাসের রস:
Wheatgrass অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, ভিটামিন, খনিজ (Minerals)- এর যৌগ। এতে ফাইবারও রয়েছে। Wheatgrass এছাড়াও শরীরে দূষিত পদার্থ বের করার (detoxifying) বৈশিষ্ট্য আছে। যকৃৎ (Liver)-এর কার্যক্ষমতা ভাল রাখতেও সাহায্য করে এটি।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।
আরও পড়ুন: দরজা খুলেই দিলেন অভিষেক! বিজেপি থেকে তৃণমূলে সুমন কাঞ্জিলাল, চৌকাঠে দাঁড়িয়ে আরও!