কলকাতা: খাবারে স্বাদের জন্য নুনের (Salt) ব্যবহার করতেই হয়। নাহলে সঠিক স্বাদ আসে না। কিন্তু খাবারে কতটা নুন ব্য়বহার করছেন, তার উপর স্বাস্থ্য নির্ভর করে। নুন বেশি ব্যবহার করতে হতে পারে নানা অসুখ। আবার নুন একেবারেই কম খেলেও দেখা দিতে পারে নানা সমস্যা। তাই রোজ খাবারে কতটা নুন ব্যবহার করবেন, তার সঠিক পরিমাণটা জানা অত্যন্ত জরুরি। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, প্রতিদিন যদি অতিরিক্ত পরিমাণে নুন খাওয়া হয়, তাহলে রক্তচাপের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর ফলে বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে হৃদরোগে (Heart Disease) আক্রান্ত হওয়ার। এছাড়াও রয়েছে আরও অনেক সমস্যা। 


অত্যধিক নুন খেলে কোন সমস্যা দেখা দেয়?


চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, খাবারে নুন ব্যবহারের সঙ্গে রয়েছে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্কও। অত্যধিক পরিমাণে নুন খেলে স্ট্রেসের (Stress) সমস্যা দেখা দিতে পারে। সম্প্রতি একটি গবেষণা করা হয়। যেখানে বেশ কিথু সংখ্যক মানুষের মধ্যে পরীক্ষা চালানো হয়। সমীক্ষায় উপস্থিত ব্যক্তিদের কিছু সংখ্যককে অত্যধিক নুন দেওয়া খাবার দেওয়া হয়। আর কিছু সংখ্যক ব্যক্তিকে সঠিক পরিমাণে নুন দেওয়া খাবার দেওয়া হয়। সমীক্ষা শেষে দেখা গিয়েছে, যাঁরা অত্যধিক পরিমাণে নুন দেওয়া খাবার খেয়েছেন, তাঁদের মধ্যে বেড়েছে স্ট্রেসের সমস্যা। শুধু তাই নয়, উদ্বেগজনিত সমস্যা, আগ্রাসন এবং অবসাদও বেড়েছে এর ফলে। তাই বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন যে, মানসিক দিক থেকেও সুস্থ থাকতে খাবারে নুন ব্যবহার করা দরকার পরিমাণ মতো। পাশাপাশি অত্যধিক নুন দেওয়া খাবার খাওয়া থেকেও বিরত থাকা দরকার।


আরও পড়ুন - Cooking Oil: রান্নার সঠিক তেল বাছছেন কি? স্বাস্থ্যের কথা ভাবছেন তো?


পাশাপাশি জানা গিয়েছে, বেশি নুন খেলে অকালে মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়তে পারে। ইউরোপিয়ান হার্ট জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষণাপত্র। এখানে ৭৫ এর আগের মৃত্যুকেই অকালমৃত্যু বলা হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের Tulane University র গবেষকরা দেখিয়েছেন, যাঁরা সবসময় খাবারে বেশি নুন খান,তাঁদের অকালে মৃত্যুর ঝুঁকি ২৮ শতাংশ বেড়ে যায়। বরং যাঁরা  খুব কম নুন খান, তাঁদের গড় আয়ু বেশি। ৪০ থেকে ৬৯ বছর বয়সের মধ্যে ১০০ জনের ৩ জন মারা যান। আর খাবারে বেশি নুন খাওয়ার জন্য আরও একজন করে বেশি লোক মারা যেতে পারেন প্রতি ১০০ জনের মধ্যে।  


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।