কলকাতা: সারা বিশ্বজুড়ে বহু মানুষ ডিম (Egg) খেয়ে থাকেন। প্রাকৃতিক প্রোটিন হিসেবে ডিমের গুরুত্ব অনেক। চিকিৎসক এবং বিশেষজ্ঞরাও শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি পূরণের জন্য ডিম খাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু ডিমের কুসুম (Egg Yolk) খেলে কি ফ্যাট  কোলেস্টেরল বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকে? হৃদরোগের ক্ষেত্রে কি ডিমের কুসুম বা হলুদ অংশ কি কোনওভাবে প্রভাব ফেলে? এই তথ্য সঠিক নাকি ভ্রান্ত? সে সম্পর্কে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।


ডিমের কুসুমের সঙ্গে হৃদরোগের সম্পর্ক কী?


বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে যখন তুলনা আসে, তখন একইরকম উপকারী ডিমের কুসুমও। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন। রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এবং হৃদপিন্ডের জন্য স্বাস্থ্যকর আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট। তাঁরা জানাচ্ছেন যে, সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী ডিমের কুসুম। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি১২। যা হা় মজবুত করতে সাহায্য করে এবং রক্তে লোগিত কণিকার বৃদ্ধি ঘটাতে সাহায্য করে। 


আরও পড়ুন - World Chocolate Day 2022: মধুমেহ রোগীরা দেদার চকোলেট খাচ্ছেন? জানেন কী হচ্ছে?


ডিমের হলুদ অংশ বা কুসুমের উপকারিতা-


১. ডিমের কুসুম স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী। এতে থাকা উপকারী উপাদান হাজের স্বাস্থ্য বজায় রাখে।
২. ওজন দ্রুত কমাতে সাহায্য করে।
৩. হৃদপিন্ড সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। হৃদরোগ প্রতিরোধ করে।
৪. চোখের নানা সমস্যা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। 


পনির ও ডিম- প্রোটিনের দুই সেরা উৎস। পুষ্টিগুণ থাকায় এই দুই প্রকার খাবার বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু, এই দুইয়ের মধ্যে প্রোটিনের অপেক্ষাকৃত ভাল উৎস কোনটা ? ডিম তুলনামূলকভাবে সহজলভ্য। অথচ ডিম থেকে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন পাওয়া যায়। সারাদিনে যে পরিমাণ ভিটামিন ও খনিজের প্রয়োজন, তা পাওয়া যায় ডিমে। একটা গোটা ডিমে ৬ গ্রাম প্রোটিন থাকে। ডিমের ওমলেট, সিদ্ধ ডিম, কারি বা পোচ খাওয়া যায়। কিন্তু, ফ্যাট বেশি থাকায় অনেকেই কুসুম খাওয়া এড়িয়ে যান।


এছাড়াও ডিমের কুসুমের রয়েছে আরও অনেক উপকারিতা। খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চুল এবং ত্বকের পরিচর্যাতেও দারুণ কাজে দেয় ডিমের কুসুম।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।