কলকাতা: আজ বিশ্ব চকোলেট ডে (World Chocolate Day 2022)। সারা বিশ্বজুড়ে ৭ জুলাই এই দিনটা বিশ্ব চকোলেট ডে হিসেবে পালন করা হয়। চকোলেট (Chocolate Health Benefits) এমন একটা খাবার, যা পছন্দ করেন না, এমন মানুষ বোধহয় খুঁজে পাওয়া মুশকিল। ছোট থেকে বড় সকলেই এটা কম-বেশি পছন্দ করে। কিন্তু মধুমেহ রোগীদের যেহেতু অনেক নিয়ম মেনে চলতে হয়, তাই অনেক বেশি সাবধানে থাকা জরুরি। বিশেষজ্ঞরা জানান, মধুমেহ এমন একটা অসুখ, যা একবার শরীরে বাসা বাঁধলে চিরস্থায়ী হয়ে যায়। সম্পূর্ণ নিরাময় না হলেও সঠিক লাইফস্টাইল, সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চললে মধুমেহ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। এই পরিস্থিতিতে মধুমেহ রোগীরা চকোলেট খেতে পারবেন কিনা তা জানা থাকে না বহু মানুষের। তাই ভ্রান্ত ধারণাও থাকে অনেক। কেউ রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ভয়ে চকোলেট খেতে চান না। আবার কেউ দেদার খেয়ে যান। আসল সত্যিটা কী? মধুমেহ (Diabetes) রোগীরা কি চকোলেট খেতে পারেন? কী হবে যদি তাঁরা চকোলেট খান?


মধুমেহ রোগীরা কি চকোলেট খেতে পারেন?


বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মধুমেহ রোগীদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক নিয়ম মানতে হলেও তাঁরা নিশ্চিন্তে চকোলেট খেতে পারেন। কারণ, চকোলেট স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর তো নয়ই, বরং অনেক বেশি উপকারী। চকোলেটে স্বাস্থ্যেকর উপাদানের পরিমাণ প্রচুর রয়েছে। অনেক রোগের ঝুঁকি কমায়, বহু জটিল রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। তেমনই মধুমেহ রোগীদের জন্যও একেবারেই ক্ষতিকর নয় চকোলেট। বিশেষজ্ঞদের মতে, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে চকোলেট। তবে, মধুমেহ রোগীদের জন্য ডার্ক চকোলেট বেশি উপকারী। পুষ্টিবিদরা বলছেন, ডার্ক চকোলেটে রয়েছে পলিফেনলস। যা একপ্রকার প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস। শরীরকে নানা প্রকার ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে এই উপাদান। ডার্ক চকোলেট রক্তে শর্করার মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে। 


আর পড়ুন - World Chocolate Day 2022: চকোলেট স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী আর কতটা ক্ষতিকর জানা আছে তো?


যে সমস্ত খাবারে শর্করার মাত্রা বেশি থাকে, তা মধুমেহ রোগীদের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু চকোলেট কিংবা বিশেষ করে ডার্ক চকোলেট একেবারেই রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায় না। মধুমেহ রোগীরা মিষ্টির পরিবর্তে চকোলেট দিয়ে মিষ্টিমুখ করতেই পারেন। জিভের স্বাদও পূরণ হবে। আবার স্বাস্থ্যকরও হবে।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।