কলকাতা: সারাদিনের কাজের পর অনেকেরই জিমে যাওয়ার মতো এনার্জি থাকে না। এ দিকে আবার ভোরে উঠতেও অনীহা। সব মিলিয়ে অনেকের ক্ষেত্রেই জিম বা যোগ ব্যায়ামের জন্য আলাদা করে সময় দেওয়া একেবারেই সম্ভব হয়ে ওঠে না। তবে কঠোর পরিশ্রম না করেও, সাধারণ কয়েকটা অভ্যাস বদলে ফেললেই দ্রুত কমবে ওজন। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেগুলি কী কী। কীভাবে মেনে চলবেন পদ্ধতি।


সকাল শুরু করুন ইষদুষ্ণ জল পান করে। চেষ্টা করুন সকালে অন্তত দু গ্লাস গরম জল পান করার। এতে শরীরের যাবতীয় টক্সিন বেরিয়ে যাবে। এবং সারাদিনে যতবার পারবেন গরম জলই খান। সারাদিন গরম জল খাওয়া সম্ভব না হলেও আপনার শরীর অন্তত ২-৩ লিটার জল পাচ্ছে কিনা খেয়াল রাখুন। 


আমাদের শরীরের জন্য ব্রেকফাস্ট একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মিল। তাই ব্রেকফাস্ট স্কিপ করবেন না। পর্যাপ্ত ফ্যাট, প্রোটিন, মিনারেলস, ফাইবার সমৃদ্ধ পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি ব্রেকফাস্ট তৈরি করে সেটি খেয়ে নিন। 


ভারী ব্য়ায়াম বা কঠোর পরিশ্রম সম্ভব না হলেও অন্তত আধঘণ্টা হাঁটুন। এতে শরীরের উপকার হবে। কিছু না পারলে অন্তত ১৫ মিনিট ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাই করুন


যখনই খেতে বসবেন, খুব মন দিয়ে চিবিয়ে খাবার খান। এতেই অনেকটা উপকার পাবেন। চিবিয়ে মিহি হয়ে যাওয়া খাবার শরীরের ভিতরে গিয়ে হজম হয়ে যায় তাড়াতাড়ি ফলে ওজন কমতে সাহায্য করে। আর একটি বিষয়ে খেয়াল রাখুন। একেবারে অনেকটা না খেয়ে অল্প করে বারবার খান।


চেষ্টা করুন ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত ২ ঘণ্টা আগে রাতের খাওয়া সেরে ফেলুন। এতে অম্বল গ্যাসের সমস্যা কম হবে। এবং ওজন কমাতেও সুবিধা হবে। মনে রাখতে হবে ওজন কমাতে খাবারের ভূমিকাই প্রায় ৭০ শতাংশ। তাই খুব কঠোর পরিশ্রম না করেও শুধুমাত্র খাওয়া-দাওয়া নিয়ন্ত্রণ করেই বেশ অনেকটা ওজন কমানো যেতেই পারে। তবে শরীর ঠিক রাখতে একটু আধটু যোগব্যায়াম জরুরি। 


ওজন কমানোর ক্ষেত্রে ঘুম অন্তত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রাতে চেষ্টা করুন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ঘুমিয়ে পড়তে। খেয়াল করুন অন্তত সাত ঘণ্টা যেন আপনার ঘুম হয়। 


চিনি খাওয়া একেবার বাদ দিয়ে দিন। চায়ের সঙ্গে বা অন্যকোনও খাবারের সঙ্গে একেবারেই চিনি খাবেন না। মিষ্টি খাওয়ার পরিমাণও কমিয়ে দিন। এতে অনেকটা উপকার পাবেন ওজন ঝরানোর ক্ষেত্রে।