কলকাতা: সৌন্দর্য এক নিমেষে ম্লান হয়ে যেতে পারে চোখের নিচে থাকা কালো দাগের (Dark Circles) কারণে। বয়সের তুলনায় বেশি বয়স্ক দেখায় এই সমস্যা। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, প্রবীণ ব্যক্তিদের জন্য চোখের নিচের কালি বা ডার্ক সার্কলের সমস্য়া খুবই সাধারণ। কিন্তু বহু ক্ষেত্রেই তা দেখা দেয় অন্য বয়সের ব্যক্তিদের মধ্যেই। ডার্ক সার্কলের সমস্যা দেখা দেওয়ার অনেকগুলো কারণ রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, অত্যধিক সূর্যের আলোর মধ্যে থাকা, চিন্তা, অবসাদ, দেরি করে রাতে ঘুমোনোর অভ্যাস, অ্যালার্জির সমস্যা, অতিরিক্ত অথবা খুব কম ঘুমের কারণে চোখের নিচে কালি পড়ার সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই সমস্যা দূর করার অনেকগুলো উপায় রয়েছে। একনজরে দেখে নেওয়া যাক, কীভাবে দূর করবেন ডার্ক সার্কলের সমস্যা।


এই পদ্ধতিগুলিতে দূর করুন ডার্ক সার্কলের সমস্যা-


১. বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ত্বকের যেকোনও সমস্যা দূর করতে লেজার থেরাপির তুলনা নেই। এই পদ্ধতি ত্বকের পরিচর্যায় অত্যন্ত কার্যকরী। লেজার থেরাপির মাধ্যমে চোখের নিচের ত্বকের ক্ষতিকর জায়গা সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে। ডার্ক সার্কলের সমস্যা দূর করার সঙ্গে সঙ্গে চোখের স্বাস্থ্যও বজায় রাখে।


২. কেমিকেলের মাধ্যমেও চোখের নিচের কালো দাগ দূর করা সম্ভব। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কেমিকেল পিলসের মাধ্যমে ডার্ক সার্কলের সমস্যা, রিঙ্কল বা বলিরেখার সমস্যা দূর করে।


আরও পড়ুন - Skin Care: ত্বকে বয়সের ছাপ পড়বে না এই খাবারগুলি খেলে


৩. সারাদিনে প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের সারাদিনে অন্তত ৮ থেকে ১২ গ্লাস জল খাওয়া দরকার। যদিও এই পরিমাণটা পুরুষদের ক্ষেত্রে একরকম আর মহিলাদের ক্ষেত্রে আলাদা। তবুও, সারাদিনে প্রচুর পরিমাণে জল খেলে শরীরে জলীয়ভাগ বজায় থাকে। তার সঙ্গে সুস্থ থাকে শরীর এবং ত্বক, চুল সমস্ত কিছু।


৪. চোখের নিচের কালি দূর করতে টমেটোর রস ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। চমেটোর রস বের করে নিয়ে, তা তুলোর সাহায্য ব্যবহার করতে হবে চোখের নিচে। শুকিয়ে গেলে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।


৫. নিয়মিত ত্বক পরিস্কার রাখতে ভুললে চলবে না। ধুলো, ধোঁয়া, দূষণের কারণেও এই সমস্যা দেখা দেয়। তাই বাইরে থেকে বাড়িতে ফিরে অবশ্যই ত্বক পরিস্কার করা দরকার।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।