কলকাতা: সুস্থ ও সবল শরীরের জন্য় শরীরচর্চা প্রয়োজন। সেই কথা সকলেই বলে থাকেন, জানেনও। কিন্তু মানসিক ভাবে সুস্থ-সবল থাকতেও প্রয়োজন শরীরচর্চার অভ্যাস। বিভিন্ন সমীক্ষায় উঠে এসেছে এমনই তথ্য়। মানসিক স্বাস্থ্যের (Mental Health) জন্য় তো বটেই। এমনকী অবসাদ ঠেকাতেও কার্যকরী নিয়মিত শরীরচর্চার অভ্যাস, বলছেন বিশেষজ্ঞরা। 


অবসাদ ঠেকাবে শরীরচর্চা?
অবসাদ (Depression) এমন একটি মানসিক অবস্থা যার একাধিক উপসর্গ হতে পারে। মন খারাপ, কাজে অনীহা, কোনও কাজেই মন বসাতে না পারা, ঘুমের স্থায়ী সমস্যা, খিদে কমে যাওয়া--এরকমই একাধিক উপসর্গ (Symptoms) হতে পারে অবসাদের। এক একজনের ক্ষেত্রে এক একরকম উপসর্গ হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে স্কুল-কলেজে, চাকরিজীবনে এমনকী ব্য়ক্তিগত সম্পর্কের ক্ষেত্রেও মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে। এই পরিস্থিতিতে একটুও দেরি না করে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে চলা উচিত। পাশাপাশি, বিশেষজ্ঞদেরই একাংশ বলে থাকেন, অনেকের ক্ষেত্রেই শরীরচর্চা বা কোনও শারীরিক কাজ অবসাদ কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে। 


কিন্তু এর কারণ কী?
কোনও ব্যক্তির মনমেজাজ (Mood) ভাল করতে সাহায্য করে শরীরচর্চা। কারণ কোনও রকম শারীরিক কসরৎ করলে শরীর থেকে এন্ড্রোফিনস (Endrophins) ক্ষরণ হয় যা স্ট্রেস-উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে। আত্মবিশ্বাস ফিরে পেতেও সাহায্য করে। ঘুমনোর সমস্যা কাটিয়ে উঠতে, খিদে কমে যাওয়ার ক্ষেত্রেও শরীরচর্চা সাহায্য করে। এতগুলি উপসর্গের জন্য কাজ করায় সামগ্রিক ভাবে অবসাদ কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করতে পারে শরীরচর্চার অভ্যাস।     


সমীক্ষায় হদিশ:
সম্প্রতি হাভার্ড টি এইচ চ্যান স্কুল অফ পাবলিক হেল্থ (Harvard T.H. Chan School of Public Health)-এর করা একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, প্রতিদিন ১৫ মিনিটের দৌড় (Running) অথবা ঘণ্টাখানেকের হাঁটার অভ্যাস অবসাদের ঝুঁতি অন্তত ২৬ শতাংশ কমিয়ে দেয়। নিয়মিত শরীরচর্চার অভ্যাস রাখলে অবসাদের সমস্যা ফিরে আসাও রোখা যায়। 


নজর ডায়েটেও:
শরীরচর্চার পাশাপাশি একাধিক পুষ্টিকর খাবারও প্রয়োজন। প্রোটিনের ভরপুর খাবার রাখতে হবে ডায়েটে। প্রাণীজ ও উদ্ভিজ্জ- দুই রকম প্রোটিনই প্রয়োজন। স্বাস্থ্যকর ফ্যাটও প্রয়োজন। সম্ভব হলে প্রতিদিন সকালে অল্প কিছু বাদাম খেতে পারলে ভাল। যথেষ্ট পরিমাণে ফল ও সব্জি খাওয়ার পরামর্শও দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। 


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।


আরও পড়ুন: ডেঙ্গির মশাই বয়ে আনে জিকা ভাইরাস, আপনাকেও কি সতর্ক হতে হবে?