কলকাতা: ওটস (Oats) স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি খাবার। প্রতিদিন খাবারের তালিকায় রাখলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে উপকারী উপাদান। যেমন, ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেটস। চিকিৎসক থেকে বিশেষজ্ঞরা সকলেই প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় ওটস রাখার পরামর্শ দেন। কিন্তু শিশুদের জন্য কি ওটস আদৌ উপকারী? কত বছর বয়স থেকে শিশুদের (Kids) ওটস খাওয়াতে পারেন? সে সম্পর্কে বিশদে জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদরা।
ওটস খাওয়া কি শিশুদের জন্য আদৌ উপকারী?
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অনেক বাবা-মা-ই স্বাস্থ্য সচেতন হওয়ার কারণে বাচ্চাদের ওটস খাইয়ে থাকেন। একেবারে শিশু বয়সেও ওদের ওটস খাওয়ানোর অভ্যাস দেখা যায়। কিন্তু এই অভ্যাস একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, প্রাপ্তবয়স্কদের শরীরের জন্য উপকারী ওটস। কিন্তু শিশুদের স্বাস্থ্যের জন্য এটি একেবারেই উপকারী নয়। শিশুদের স্বাস্থ্যের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে ওটস। বিশেষজ্ঞরা আরও জানাচ্ছেন যে. একেবারে ছোট বাচ্চাদের ওটস খাওয়ানো উচিত নয়। এর ফলে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে ওদের স্বাস্থ্যে।
আরও পড়ুন - Protein: অতিরিক্ত পরিমাণে প্রোটিনজাতীয় খাবার খাচ্ছেন? কী হচ্ছে এর ফলে?
পুষ্টিবিদদের মতে, শিশুদের ওটস খাওয়ানোর আগে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়া প্রয়োজন। কিন্তু পাঁচ বছরের নিচের বাচ্চাদের একেবারেই ওটস খাওয়ানো উচিত নয়। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। আর এই ফাইবার নির্দিষ্ট কিছু কারণের জন্যই খাওয়া উচিত। কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্য যাঁদের রয়েছে, তাঁদের জন্য দারুণ উপকারী এই স্বাস্থ্যকর উপাদান। তাই বাচ্চার যদি কোষ্ঠকাঠিন্য বা ওই জাতীয় কোনও সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে, তবেই ওটস খাওয়ানো দরকার। অথবা, যেকোনও সময়ই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে তবে ওটস খাওয়া দরকার।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ওটসে রয়েছে পুষ্টি উপাদান। ফাইবার বিটা গ্লুকান সহ ফাইবার অন্যতম উৎস ওটস। অন্যান্য শস্যের থেকে বেশি পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে। এর পাশাপাশি ভিটামিন, মিনারেল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে ওটসে। ওটস একটি সহজ, সুষম ব্রেকফাস্ট। এক কাপ রান্না করা ওটমিলে প্রায় ১৫০ ক্যালোরি, চার গ্রাম ফাইবার এবং ছয় গ্রাম প্রোটিন থাকে। ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ, যা রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি করে। ওটস রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।