কলকাতা: বর্ষাকাল হোক কিংবা অন্য কোনও সময়ে মাছ (Fish) খেতে পছন্দ করেন না, এমন মানুষ বোধহয় খুঁজে পাওয়া মুশকিল। মাছ স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী, তা আমাদের সকলেরই জানা। মাছের পুষ্টিগুণ (Fish Health Benefits) সম্পর্কে আমরা জানলেও এর ডিমের (Fish Eggs) উপকারিতা সম্পর্কে অনেকেরই বিশদে জানা থাকে না। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মাছের মতো মাছের ডিমেও রয়েছে অনেক উপকারিতা (Fish Eggs Health Benefits)। মাছের ডিমে এমন কিছু উপাদান ও পুষ্টিগুণ রয়েছে, যা শরীরের অনেক সমস্যা দূর করে। একনজরে দেখে নেওয়া যাক, মাছের ডিম আমাদের স্বাস্থ্যের উপর কী কী প্রভাব ফেলে।
মাছের ডিমের উপকারিতা-
১. বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মাছের ডিমে থাকা এক ধরনের ফ্যাটি অ্যাসিড মস্তিষ্ককে ভালো রাখে। গবেষকদের মতে, মাছ ও মাছের ডিমে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রিউম্যাটয়েড আর্থারাইটিসের লক্ষণগুলো কমায়।
২. মাছের ডিমে রয়েছে ভিটামিন এ, যা চোখ ভালো রাখে। এ ছাড়া এতে থাকা ডিএইচএ ও ইপিএ, যা শিশুদের দৃষ্টিশক্তি বাড়ায় ও রেটিনার কার্যকারিতাকে উন্নতমানের করে।
৩. মাছের ডিমে থাকা স্বাস্থ্যকর উপাদানগুলো রক্ত পরিষ্কার করে ও রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়ায়, যা অ্যানিমিয়া থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। মাছের ডিমে থাকা ভিটামিন-ডি হাড় শক্ত করে এবং দাঁত মজবুত করে ও ভালো রাখে।
আরও পড়ুন - Pointed Gourd: ভাজা থেকে তরকারিতে পটল খাচ্ছেন? তাহলে উপকারিতাগুলোও জানুন
৪. বিশেষজ্ঞদের মতে, মাছের ডিম হার্টের রোগীদের জন্য উপকারী। এতে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ভিটামিন ডি বিভিন্ন প্রকার হৃদরোগ প্রতিরোধ করে। মাছের ডিমে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড দেহের ভেতরে রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয় । ফলে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমায়।
৫. মস্তিষ্ক সুস্থ রাখতে সাহায্য করে মাছের ডিম। এতে থাকা উপকারী উপাদান বয়সজনিত সমস্যা দূর করে।
৬. মাছের ডিমে থাকা উপকারী উপাদান চোখ সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। চোখ শুকিয়ে যাওয়ার সমস্যা দূর করে, দৃষ্টিশক্তি প্রখর করে।
৭. উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে মাছের ডিম। যাঁদের হাইপারটেনশনের সমস্য়া রয়েছে, তাঁদের জন্য অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর।
এর পাশাপাশি বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অনেক সময়ই বহু মানুষের অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দেয় মাছের ডিম থেকে। মাছের ডিম থেকে অ্যালার্জি দেখা দিলে, ত্বকের নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। ত্বকে চুলকানির সমস্যা দেখা দেওয়া থেকে মাথার যন্ত্রণা, নাকের যন্ত্রণা, মাথা ঘোরা, দুর্বলভাব দেখা দিতে পারে। তাই যাঁদের বিভিন্ন খাবারে অ্যালার্জির সমস্যা থাকে, তাঁদের অবশ্যই মাছের ডিম খাওয়ার আগে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়া দরকার।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।