কলকাতা: নানা কারণে মাথার যন্ত্রণার সমস্যা দেখা দেয়। খাদ্যাভ্যাসের কারণ থেকে লাইফস্টাইলের কারণে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এমন বেশ কিছু খাবার রয়েছে, যা মাথার যন্ত্রণার সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। দেখে নেওয়া যাক সেগুলি কী কী-


মাথার যন্ত্রণার কারণ যে খাবারগুলি-


১. বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে বেড়ে যেতে পারে মাথার যন্ত্রণার সমস্যা। এতে শরীরের নানা ক্ষতি হয়। তার সঙ্গে মাথার যন্ত্রণার সমস্যাও জটিল রোগে পরিণত হয়।


২. অনেকেই কাজের মাঝে এনার্জি ফেরাতে কফি খেয়ে থাকেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অত্যধিক কফি খেলে বেড়ে যেতে পারে মাথার যন্ত্রণা। 


৩. সুইস, পারমেশন, ব্রি জাতীয় চিজ খেলে বেড়ে যেতে পারে মাথার যন্ত্রণার সমস্যা। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন এমনটাই। 


আরও পড়ুন - Diabetes: মধুমেহ রোগীরা ডিনারে এই সুস্বাদু রেসিপিগুলি খেতে পারেন


৪. অত্যধিক মাত্রায় প্রসেসড মিট খাচ্ছেন? এই খাবার শরীরের নানা ক্ষতি করার সঙ্গে সঙ্গে সমস্যা বাড়াচ্ছে মাথার যন্ত্রণাতেও।


৫. সয়া সসেও বাড়ে মাথার যন্ত্রণা। অনেক খাবারেই এই সস খাওয়া হয়। আর তার ফলেই দেখা দেয় মাথার যন্ত্রণা। বিশেষজ্ঞদের মত এমনটাই।


এর পাশাপাশি মাথার যন্ত্রণা কমানোর উপায়ও জানাচ্ছেন তাঁরা। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মাথার যন্ত্রণা দেখা দিলে কপালে বরফের প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। বেশ কয়েকটি বরফের টুকরো একটি তোয়ালেতে মুড়ে নিন। অথবা ফ্রিজে সব্জি রাখার যে মুখ মোড়া ব্যাগ থাকে ঘরে, তাতেও বরফ ভরে নিতে পারেন। এবার বরফ মোড়া ব্যাগ অথবা তোয়ালে দিয়ে কপালে সেঁক দিন। অন্তত ১৫ মিনিট ধরে কপালে বরফের সেঁক দিন। যদি বাড়িতে বরফ না থাকে, তাহলে ঠান্ডা জলে স্নান করে নিতে পারেন। মাথার যন্ত্রণা কমে যাবে। যদি কারও সাইনাসের সমস্যা থাকে, তাহলে গরম জলের সেঁক দিতে পারেন। ঘাড়ে, মাথার পিছনে গরম সেঁক দিন। একটি কাপড় গরম করে শরীরের উক্ত অংশগুলিতে সেঁক দিতে পারেন। মাথার যন্ত্রণা কমানোয় দারুণ কাজ দেবে। অত্যধিক আলোর মধ্যে থাকার কারণে, দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটার, স্মার্টফোনের স্ক্রিনের আলোর সামনে থাকার কারণেও মাথার যন্ত্রণা হতে পারে। মাথার যন্ত্রণা কমাতে ঘরের আলো কমিয়ে দিন। হালকা আলো বা চোখের কষ্ট না হয় এমন আলো ঘরে জ্বালিয়ে রাখতে পারেন। কিছুক্ষণ অল্প আলোর মধ্যে চোখ বন্ধ করে শুয়ে থাকুন।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।