কলকাতা: মধুমেহ (Diabetes)। এই অসুখের নামটার সঙ্গে পরিচিত আমরা সকলেই। কেউ কেউ ব্লাড সুগার নামেও চেনেন। আবার কেউ ডায়াবিটিস। রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পেলে এই অসুখ দেখা দেয়। এমনটাই জানান বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, মধুমেহ এমন একটা অসুখ যা একবার শরীরে বাসা বাঁধলে চিরস্থায়ী। এই রোগের সম্পূর্ণভাবে কোনও নিরাময় নেই। তবে, চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চললে এবং নিয়মিত ওষুধ খেলে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় মধুমেহকে। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের বেশ কিছু খাবার থেকে একেবারেই দূরে থাকার পরামর্শ দেন চিকিৎসক থেকে বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, বেশ কিছু খাবার রয়েছে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই খাবার (Foods) নির্বাচনে খুব সতর্ক থাকা দরকার। সবসময় চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।


কোন কোন খাবার থেকে দূরে থাকা দরকার মধুমেহ রোগীদের?


১. বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, শর্করাজাতীয় পানীয় একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয় মধুমেহ রোগীদের জন্য। এছাড়াও কৃত্রিমভাবে তৈরি শর্করাজাতীয় পানীয় মারাত্মক ক্ষতিকর। রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করে এই পানীয়। মিষ্টি আইস টি থেকে যেকোনও বাজার চলতি নরম পানীয় মধুমেহ রোগীদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে। এই সমস্ত পানীয় মধুমেহ রোগীদের ফ্যাটি লিভারের সমস্যা বাড়ায়।


২. সাদা পাউরুটি, সাদা ভাত থেকে পাস্তা। এই তিন খাবারই মধুমেহ রোগীদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। টাইপ টু ডায়াবিটিস কিংবা টাইপ ওয়ান ডায়াবিটিস, প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই এগুলি ক্ষতিকর। 


আরও পড়ুন - Soaked Peanuts: স্বাস্থ্যকর মনে করে বাদাম ভেজানো খাচ্ছেন? আদৌ উপকারী তো?


৩. সাধারণ দই মধুমেহ রোগীদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতি না হলেও ফ্লেভার দেওয়া দই তাঁদের জন্য একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। স্বাদের জন্য বহু মানুষ ফ্লেভার দেওয়া দই খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু মধুমেহ রোগীদের এই খাবার থেকে দূরে থাকা দরকার।


৪. বিশেষজ্ঞদের মতে, কফির নিজস্ব বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে। কিন্তু যখনই তার সঙ্গে ফ্লেভার মেশে, তখনই তা মধুমেহ রোগীদের জন্য ক্ষতিকারক। খেতে ভালো লাগলেও এই ধরনের কফি থেকে তাঁদের দূরে থাকাই ভালো।


৫. প্যাকেটজাত স্ন্যাকসও একেবারেই খাওয়া চলবে না মধুমেহ রোগীদের। এতে থাকা ক্ষতিকর উপাদান যেমন রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। তেমনই ওবেসিটি থেকে আরও অন্যান্য অসুখের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়। প্যাকেটজাত স্ন্যাকসের পরিবর্তে বাদাম খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।