কলকাতা: দিন হোক কিংবা রাত, দাঁতের ব্যথা (Toothache) যেকোনও সময়ই মারাত্মক যন্ত্রণাদায়ক। এই সময়ে বেশিরভাগ মানুষ চটজলদি আরাম পেতে পেনকিলারের ব্যবহার করেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া পেনকিলার খেলে তা স্বাস্থ্যের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। তাই এই পরিস্থিতিতে নিজের ইচ্ছামতো পেনকিলার খাওয়া একেবারেই ঠিক নয়। তাহলে কীভাবে দাঁতের যন্ত্রণার (Tooth Pain) হাত থেকে রেহাই পাবেন? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, আমাদের হাতের কাছেই রয়েছে দাঁতের যন্ত্রণা থেকে রেহাই পাওয়ার ওষুধ। প্রায় প্রত্যেক বাড়িতেই এমন একটি ঔষধি গাছ থাকে। সেই গাছের রসে নিমেষে কমে যেতে পারে দাঁতের ব্যথা।


দাঁতের ব্যথা কমাতে এই গাছের জুড়ি মেলা ভার-


বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, দাঁতের ব্যথায় ছটফট করছেন? পেনকিলার খেয়ে সাময়িক কমলেও একেবারে ব্যথা কমছে না? অনেকেই আবার রক্তচাপের বা হার্টের ওষুধ খাওয়ার জন্য পেনকিলার খেতে পারেন না। তাঁদের ক্ষেত্রে সমস্যা আরও বেশি। মাঝরাতে বা এমন কোনও সময়, যখন আপনি ওষুধ কিনে নিয়ে আসারও সময় পাচ্ছেন না, এরকম ক্ষেত্রে যদি দাঁতে প্রচণ্ড যন্ত্রণা করে, তাহলে কী করবেন? তাঁদের মতে, এমন পরিস্থিতিতে কোনও ওষুধ খেতে হবে না। এক নিমেষে প্রচণ্ড দাঁতের যন্ত্রণা কমিয়ে দিতে পারে একটি মাত্র গাছের রস। প্রায় আমাদের সকলেরই বাড়িতে বা বাড়ির কাছেই পাওয়া যায় এই গাছ। ভাবছেন কোন এমন গাছ, যা নিমেযে দাঁতের যন্ত্রণা কমিয়ে দিতে পারে? তা হল আকন্দ গাছ (Giant Milkweed)।


আরও পড়ুন - Health Tips: দাঁড়িয়ে খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যকর নাকি ক্ষতিকর?


দাঁতের ব্যথা কমানোয় আকন্দ গাছের রসের উপকারিতা-


ঔষধি গাছ হিসেবে আকন্দ গাছের জুড়ি মেলা ভার। যখন কোনও কিছুতেই আপনি দাঁতের ব্যথা কমাতে পারছেন না, তখন আকন্দ গাছের রষ তুলোয় করে দাঁতের 
গোড়ায় ব্যবহার করুন। নিমেষে ব্যথা কমে যাবে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, শুধু দাঁতের ব্যথা কমানোই নয়। আকন্দ গাছের রস আমাদের আরও অনেক উপকার করে। যদি কোনও কারণে আপনার গোড়ালি মচকে যায়, তাহলে আকন্দ গাছের রস তুলোয় ভিজিয়ে মচকে যাওয়া জায়গায় লাগিয়ে দিন। মুহূর্তের মধ্যে ব্যথা যন্ত্রণা কমে যাবে। এছাড়াও, শরীরের কোনও ক্ষত জায়গায় যদি পুঁজ হয়ে থাকে, তাহলে আকন্দ গাছের পাতা সিদ্ধ করে সেই জল দিয়ে সেই জায়গাটি ধুয়ে দিন। ক্ষত জায়গায় পুঁজ হবে না। এছাড়াও, চর্মরোগও নিরাময় করতে পারে আকন্দ গাছ। 


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।