কলকাতা: পাতের পাশে হোক বা রান্নায়। খাবারের স্বাদ আনতে কাঁচালঙ্কার জুড়ি মেলা ভার। তবে শুধু রান্নায় ঝালের জন্য বা স্বাদের জন্য কাঁচালঙ্কা দেওয়া হয় না। কাঁচালঙ্কা খেতে ঝাল হলেও হাজার একটি গুণে সমৃদ্ধ। এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে আরও কিছু পুষ্টি উপাদান। যা সুগারের মতো কঠিন রোগকেও জব্দ করতে জানে। রোজ রাতে ৩-৪ টে কাঁচালঙ্কা জলে ভিজিয়ে পর দিন সেই জল খেলেই কাজ হবে।


কেন খাবেন কাঁচালঙ্কার জল (Green Chili Health Benefits) ?


অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ -  শুধু ভিটামিন সি নয়, ভিটামিন এ ও বি কমপ্লেক্সের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ কাঁচালঙ্কা। এটি নিয়মিত খেলেঅক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রেহাই পাওয়া যায়। এছাড়াও, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বেশ কিছু উপকারে লাগে।


ফুসফুসের জন্য ভাল -  ফুসফুসের জন্য কাঁচালঙ্কা বেশ ভাল। এর মধ্যে কিছু জরুরি ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট রয়েছে। এই উপাদানগুলি শ্বাসনালির আয়তন প্রসারিত করে শ্বাসকষ্ট কমায়। একই সঙ্গে অ্যাজমা, সর্দি, কাশি থেকে রেহাই দেয়।


অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ - কাঁচালঙ্কার মধ্যে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ রয়েছে। এই গুণের জেরে পেটের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া থেকে সহজে রেহাই পাওয়া যায়। পাশাপাশি হারপিস ও অ্যাথলিটস ফুটের মতো রোগও প্রতিরোধ করে।


খাবার হজম কমায় - খাবার দ্রুত হজম করতে সাহায্য করে কাঁচালঙ্কা। কারণ এর মধ্যে রয়েছে ডায়েটারি ফাইবার। এই ফাইবারই হজমে উপযোগী। এর ফলে আলসারের ঝুঁকি কমে।


ওজন নিয়ন্ত্রণ - কাঁচালঙ্কা মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে। প্রায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ে মেটাবলিজম। যার প্রভাব তিন ঘন্টা পর্যন্ত থেকে যায়।‌ মেটাবলিজম বাড়লে শরীরের ক্যালোরি বেশি খরচ হয়। যা ওজন কমায়।


ক্যানসার ঠেকায় - ক্যানসারের অন্যতম কারণ অক্সিডেটিভ স্ট্রেস। এই স্ট্রেসের পরিমাণ কমায় কাঁচালঙ্কা। এর ফলে কোশের ডিএনএ নষ্ট হওয়ার হাত থেকে বেঁচে যায়। যা ক্যানসার ঠেকাতে সাহায্য করে।


হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখে - হার্টের জন্যও উপকারী কাঁচা লঙ্কা। রক্তনালিতে কোনও ক্ষতিকর পদার্থ জমতে দেয় না কাঁচালঙ্কা। ফলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও অনেকটা কমে।


রক্তের কোলেস্টেরল কমায় - রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল হার্টের জন্য বিপজ্জনক। এটি রক্তনালির মধ্যে জমে ব্লকেজ তৈরি করে যার ফলে হার্ট অ্যাটাক ও হার্ট ফেলিওরের সম্ভাবনা বাড়তে থাকে। কাঁচালঙ্কার জল খেলে এই আশঙ্কা দূর হয়। 


ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


আরও পড়ুন - Holi 2024: চুল, ত্বকের ক্ষতির ভয় নেই, ঘরেই বানিয়ে ফেলুন প্রাকৃতিক রং, রইল সহজ রেসিপি