Hair care: চুলের যত্নে তেলের গুরুত্ব অপরিসীম, কীভাবে বাড়িতে বানাবেন এই তেল?
Hair care: বোতলবন্দি তেল অনেকেরই পছন্দ নয়, ভয় থাকে রাসায়নিকেরও।
কলকাতা: চুল ভাল রাখতে বিস্তর কাঠখড় পোড়াতে হয়। মানতে হয় বহু নিয়ম। বহু নিয়মের মধ্যেই চুল ভাল রাখার জন্য অবশ্য প্রয়োজন তেল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চুলের যত্নে তেল অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে তবে তা চুলে রাখা যাবে সর্বোচ্চ ১ ঘণ্টা। চুল ও মাথার ত্বকে ভালোভাবে তেল ম্যাসাজ করে এক ঘণ্টা পরই শ্যাম্পু করুন। এতে তেলের সম্পূর্ণ পুষ্টিই চুল ও মাথার ত্বক পাওয়ার সুযোগ পাবে। তবে বোতলবন্দি তেল অনেকেরই পছন্দ নয়, ভয় থাকে রাসায়নিকেরও। তাই বাড়িতেই তৈরি করে নিতে পারেন ওই তেল, কীভাবে?
আরও পড়ুন...
আমের পরে ঠান্ডাপানীয় খেলে সত্যিই বিপদ? না কি শুধুই রটনা?
বাড়িতে কীভাবে তৈরি করবেন তেল?
প্রথমে নারকেল তেল অল্প আঁচে গরম করুন। সেখানে আমলকি, মেথি বীজ দিয়ে দিন। ঘরে কালোঞ্জি থাকলে সেটাও দিতে পারেন। তারপর বেশ কিছুক্ষণ ফোটাতে হবে। এরপর আঁচ বন্ধ করে দিন। তারপর সময় নিয়ে নাড়িয়ে নাড়িয়ে ঠান্ডা করতে হবে। এবার ফুলের পাপড়ি দিয়ে দিতে পারেন। এরপর ঢেকে রাখুন অন্তত ২৪ ঘণ্টার তাতে জবা। এবার ওই তেল ছেঁকে বোতলবন্দি করে ফেলুন। দীর্ঘদিন চলবে।
চুলের বাইরের আবরণকে সুস্থ রাখতে অনেকেই তেল মাথার স্ক্যাল্প ও চুলে ব্যবহার করেন। এই অভ্যাস লাভজনক হলেও দীর্ঘ সময় ধরে মাথায় তেল রাখাটাকে মোটেও লাভজনক বলে মনে করছেন না ডার্মাটোলজিস্টরা। অনেকেই নারিকেল তেল, বাদাম তেল, সরিষা তেল, অলিভ ওয়েল চুলে ব্যবহার করেন সঠিক পুষ্টির আশায়। নিঃসন্দেহে তা চুলের পুষ্টি জোগায় তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তেল থেকে চুল ও মাথার ত্বকের পুষ্টি সংগ্রহ করতে সময় প্রয়োজন হয় ৪০ থেকে ৫০ মিনিটের মতো। তাই যারা মনে করেন, দীর্ঘ সময় তেল মাথায় থাকলে চুল বেশি পুষ্টি পাবে, বিষয়টি মোটেও সে রকম নয়। বরং সারা দিন বা সারা রাত তেল মাথার স্ক্যাল্প ও চুলে থাকলে তা চুলের গোড়াকে নরম করে ফেলে। চুলের গোড়া নরম হলে শুরু হয় চুল ঝরে পড়ার মতো সমস্যা। তা ছাড়া মাথার স্ক্যাল্পে দীর্ঘ সময় তেল থাকায় সেখানে ময়লা আটকে থাকার সুযোগ পায়।এই ময়লা মাথার ত্বককে নষ্ট করে ফেলে। এতে দেখা দেয় খুশকির সমস্যাও। তবে তার মানে এই নয়, চুলে তেল ব্যবহার করা যাবে না। বিশেষজ্ঞরা বলছে, চুলের যত্নে তেল অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে তবে তা চুলে রাখা যাবে সর্বোচ্চ ১ ঘণ্টা।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনে চিকিৎসকের থেকে অবশ্যই পরামর্শ নিন।