কলকাতা: ডিম (Eggs) খেলে বহু মানুষেরই অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে। ছোট থেকে বড় সকলের মধ্যেই এই সমস্যা দেখা দেয়। ডিম খেলে ত্বকের সমস্যা থেকে হাঁফানি কিংবা লিভারের সমস্যা দেখা দেয়। অনেক সময়ই বহু মানুষ বুঝতে পারেন না যে, ডিম থেকেই তাঁর অ্যালার্জি হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে অ্যালার্জির মাত্রা বেড়ে যায় আরও। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কাঁচা ডিম স্পর্শ করলেও অনেকের অ্যালার্জি দেখা দেয়। জেনে নেওয়া যাক ডিম থেকে হওয়া অ্যালার্জির (allergy) উপসর্গগুলি কী কী-
ডিম থেকে অ্যালার্জির লক্ষণ-
১. ডিম খেলে ত্বকের সমস্যা, চুলকানি, ত্বকে ফোলাভাব দেখা দিতে পারে অ্যালার্জির ফলে।
২. চোখের সমস্যা দেখা দেয় অ্যালার্জির কারণে। চোখ থেকে জল পড়া, চোখ লাল হয়ে যাওয়া কিংবা চোখ অনবরত চুলকালে বুঝতে হবে অ্যালার্জি দেখা দিয়েছে।
৩. শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা দেখা দেয় ডিম থেকে অ্যালার্জির কারণে। এছাড়াও হাঁচি, কাশির সমস্যা দেখা দেয়।
আরও পড়ুন - Durga Puja 2022: দুর্গাপুজোয় উপবাস করেছেন? চটজলদি এই রেসিপিগুলো বানাতে পারেন
৪. বমি, তলপেটে ব্যথা, ক্র্যাম্প ধরা, মাথা ঘোরা, বমিভাব কিংবা ডায়রিয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে ডিম থেকে অ্যালার্জি হলে।
৫. গলায় ব্যথা, গলা ধরে যাওয়া, আচমকা মেজাজ পরিবর্তন, চোখে ঝাপসা দেখার সমস্যা দেখা দেয় এর ফলে।
৬. মস্তিষ্কে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে ডিম থেকে অ্যালার্জির কারণে।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আচমকা বাড়িয়ে দেওয়ার কারণে ডিম থেকে অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দেয়। ডিমের সাদা অংশে যে প্রোটিন থাকে, তা আচমকা প্রভাব ফেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায়। একইরকমভাবে ডিমের কুসুমও। এর ফলে অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দেয়।
ডিম থেকে অ্যালার্জির সমস্যা প্রতিরোধ করার উপায় হিসেবে বিশেষজ্ঞদের মত, ডিম খাওয়া এড়িয়ে চলাই ভালো। তবে, শুধু প্রত্যক্ষভাবে ডিম খাওয়া এড়িয়ে চললেই চলবে না। তার সঙ্গে ডিম দিয়ে তৈরি নানা খাবারও এড়িয়ে যেতে হবে। তা ডিম দিয়ে তৈরি কেক হতে পারে কিংবা পুডিং অথবা অন্য কোনও খাবার। যদি চিকিৎসক জানিয়ে দেন যে, কোনও ব্যক্তির ডিম থেকেই অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দিচ্ছে, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনেই খাবার খাওয়া দরকার।
ডিম থেকে অ্য়ালার্জি হলে আচমকা রক্তচাপ কমে যেতে পারে। এর ফলে অ়্ঝান হয়ে যাওয়ার লক্ষণ দেখা দেয়। শরীর দুর্বল করে দেয়। শ্বাস প্রশ্বাস নিতে সমস্যা দেখা দেয়।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।