Period Cramps: পিরিয়ডস মানেই অনেক মহিলার কাছে খুব আতঙ্কের বিষয়। এর অন্যতম কারণ তীব্র যন্ত্রণার কষ্ট। পিরিয়ডসের সময় অনেকেই পেটে ব্যথায় খুবই কষ্ট পান। বিশেষ করে তলপেটের যন্ত্রণায় প্রচণ্ড কষ্ট পান অনেকে। এর সঙ্গে পায়ে এবং কোমরেও অনেক মহিলারই যন্ত্রণা হয়। তবে তলপেটের অংশে পিরিয়ডস ক্র্যাম্প অনেকের জীবনেই আক্ষরিক অর্থে বিভীষিকা। কয়েকটি ফল রয়েছে যেগুলি খেলে পিরিয়ডসের সময় আপনার ক্র্যাম্প কমতে পারে।
এই তালিকায় কোন কোন ফল রয়েছে, একনজরে দেখে নিন
- এই তালিকায় রয়েছে ফাইবার সমৃদ্ধ ফল কলা। এই ফলে থাকা বোরন নামের মিনারেলস পিরিয়ডস ক্র্যাম্প কমায়।
- আনারস খেলেও কমবে পিরিয়ডস ক্র্যাম্প। এখানে থাকা ব্রোমেলাইন এনজাইম ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
- কমলালেবু খেলে পিরিয়ডসের সময় পেটে ব্যথা কমতে পারে। এই ফলে রয়েছে ভিটামিন সি, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম।
- পেঁপের মধ্যে থাকা প্যাপাইন নামক উৎসেচক এবং ভিটামিন এ পিরিয়ডসের সময় ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
- ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি, র্যাসপবেরি- বিভিন্ন ধরনের জাম খেলেও পিরিয়ডসের সময় কমবে ব্যথা। এইসব ফলে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস।
- হেলদি ফ্যাট, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম রয়েছে অ্যাভোকাডোর মধ্যে। এই ফল খেলে পিরিয়ডস ক্র্যাম্প কমবে।
- তরমুজের মধ্যে জলীয় উপকরণ বেশি। রয়েছে প্রচুর ম্যাগনেসিয়াম। এই ফলও পিরিয়ডস ক্র্যাম্প কমায়।
পিরিয়ডসের সময় যাঁদের অতিরিক্ত পেটে ব্যথা হয় তাঁরা মুঠো পেনকিলার কিংবা অন্যান্য ওষুধ না খেয়ে বরং চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম অর্থাৎ পিসিওডি- র সমস্যা থাকলে পিরিয়ডসের সময় তলপেটে খুব যন্ত্রণা হয়। এছাড়াও পিরিয়ডসের দিন বারবার এগিয়ে, পিছিয়ে যেতে পারে। পিরিয়ডস অনিয়মিত হতে পারে। প্রচুর রক্তক্ষরণ হতে পারে। কিংবা খুব কম রক্তক্ষরণ হতে পারে। ব্লাড ক্লট তৈরি হতে পারে। এইসব লক্ষণ দেখা দিলে সতর্ক হয়ে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। নিজে নিজে ওষুধ না খাওয়াই ভাল।
আরও পড়ুন- পনির শুধুই একটা আমিষ খাবার নয়, এর গুণ প্রচুর, কেন পাতে রাখবেন?
আরও পড়ুন- রাতে ঘুমানোর আগে কোন তিন ধরনের চা খেলে সুখনিদ্রা দিতে পারবেন নিশ্চিন্তে?
আরও পড়ুন- ব্রেকফাস্টে 'মর্নিং বুস্টার' হিসেবে কোন কোন খাবার রাখা জরুরি? কী কী অবশ্যই বাদ দেবেন?
ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।