কলকাতা: শীতকাল, গরমকালের মতো বর্ষাকালেও (Monsoon) চুলের (Hair) নানা সমস্যা দেখা দেয়। তৈলাক্ত চুলের ক্ষেত্রে পরিচর্যা হয় একরকম আবার শুষ্ক ত্বকের ক্ষেত্রে পরিচর্যা অন্যরকম। বর্ষাকালে চুল নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ে। এই সময়ে বিশেষ যত্ন নেওয়া প্রয়োজন বলে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। ত্বকের মতোই যত্ন নিতে হবে চুলের। বর্ষাকালে চুলের যত্ন নেওয়ার সময়ে যে দিকগুলোর দিকে নজর দেওয়ার কথা জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।


১. বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বর্ষাকালে আবহাওয়ার কারণে চুল শুকনো হতে অনেক বেশি সময় নেয়। চুল শুকনো করার অর্থ, মাথার ত্বক যেন সঠিকভাবে শুষ্ক থাকে। বিশেষ করে যদি বৃষ্টিতে চুল ভেজে, তাহলে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে বৃষ্টিতে ভেজার পর বাড়িতে এসে ফের শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধোওয়া দরকার। তারপর তা ভালো করে শুকিয়ে তবে বাঁধতে হবে কিংবা শুতে হবে।


২. শ্যাম্পু কররা মিনিট পনেরো আগে নারকেল তেল দিয়ে স্কাল্পে ম্যাসেজ করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এতে চুলের ময়শ্চারাইজারভাব সঠিক থাকে। চুল পড়া রোধ করে এবং চুল কোমল থাকে।


৩. চুল সুস্থ রাখার জন্য খাদ্যাভ্যাসে বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন বলে মত বিশেষজ্ঞদের। চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখচে ডিম, বাদাম, দুগ্ধজাত দ্রব্য, শস্যদানা এবং প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাকসব্জি খেতে হবে। এছাড়াও তালিকায় রাখতে হবে প্রচুর পরিমাণে টাটকা ফল যেমন বেরি, আঙুর। পালং শাক, মিষ্টি আলু খেতে হবে নিয়মিত।


আরও পড়ুন - Child's Health: শিশুদের খাবারের তালিকায় এইগুলো রাখুন, বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা


৪. চুল যাতে অহেতুক ছিঁড়ে না যায়, তার জন্য ব্যবহার করতে হবে সঠিক চিরুনি। খুব সরু দাড়ার চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ালে চুল তুলনায় অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মোটা দাড়ার চিরুনি দিয়ে ভালো করে রোজ চুল আঁচড়াতে হবে।


৫. খুসকির সমস্যা দূর করতে কিংবা চুল পড়া রোধ করতে সপ্তাহে একদিন হলুদ ও নিমের পেস্ট তৈরি করে তা ব্যবহার করতে হবে। এতে থাকা উপকারী উপাদান চুলের জন্য দারুণ উপকারী।


৬. চুলের ডগা ফেটে যাওয়ার সমস্যা রোধ করতে চুল বেঁধে রাখতে হবে। চুলের ধরন অনুযায়ী শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে। অহেতুক ক্ষতিকর কেমিকেল দেওয়া রং ব্যবহার করা বন্ধ করতে হবে।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।