কলকাতা: করোনা ভাইরাস আসা থেকে আমাদের প্রত্যেকের জীবনেই কিছু না কিছু পরিবর্তন এসেছে। এই মারাত্মক অতিমারী বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করেছে আমাদের জীবনকে। ডায়াবিটিস, উচ্চরক্তচাপ, ক্যানসার কিংবা আরও অন্যান্য অসুখে যাঁরা ইতিমধ্যেই ভুগছেন, তাঁদের জন্য আরও বেশি আশঙ্কার হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনা ভাইরাস। এর পাশাপাশি অ্যালজাইমার্স রোগীরাও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন এই অতিমারীর প্রকোপে। আজ বিশ্ব অ্যালজাইমার্স (Alzheimers) দিবস। করোনা ভাইরাসের পাশাপাশি জেনে নিন কোন কোন লক্ষণ দেখে বুঝবেন স্মৃতিভ্রংশের লক্ষণ দেখা দিচ্ছে।


১. কোনও কিছু মনে করতে না পারাই অ্যালজাইমার্স বা স্মৃতিভ্রংশের অন্যতম লক্ষণ। বিশেষত কোনও বিশেষ দিন বা ইভেন্ট অনেক চেষ্টা করেও মনে করতে না পারা। 


২. নম্বর বা সংখ্যার হিসেব সঠিকভাবে করতে সমস্যা হলে বা সেই কাজটা করে প্রয়োজনের থেকে অনেক সময় বেশি নিলে বুঝতে হবে ধীরে ধীরে স্মৃতিভ্রংশের সমস্যা আঁকড়ে ধরছে।


আরও পড়ুন - Healthy Tips: কেন দিনের শুরুটা একমুঠো বাদাম দিয়ে করবেন? জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদরা


৩. পরিবার বা কাছের মানুষের সঙ্গেও সহজভাবে মিশতে না পারলে কিংবা খুবই পছন্দের কোনও খেলার নিয়ম মনে করতে না পারলে তা অবশ্যই চিন্তার।


৪. সময় এবং স্থানের মধ্যে গুলিয়ে ফেললে। মানে, যদি কখনও কাউকে কোথাও থেকে নিয়ে যাওয়ার কথা থাকে, তাহলে তা বেমালুম ভুলে গেলে কিংবা তারিখ এবং সময় গুলিয়ে ফেললে।


৫. কোনও কিছু পড়ার সময় সমস্যা হলে এবং দূরত্ব নির্ণয় করতে সমস্যা হলে তা অবশ্যই অ্যালজাইমার্সের লক্ষণ।


৬. অ্যালজাইমার্স রোগীদের কথা বলতে এবং কোনও কিছু লিখতে সমস্যা হয় প্রথম থেকেই। এছাড়াও কোনও কথা বলতে বলতে অন্য প্রসঙ্গে চলে যাওয়াও এই অসুখের অন্যতম লক্ষণ।


আরও পড়ুন - World Alzheimer's Day 2021 : ক্ষণিকের মধ্যেই ভুলে যাচ্ছেন না তো ? সতর্ক হোন !


৭. টাকা পয়সা সংক্রান্ত বিষয়ে একেবারেই হিসেব করতে পারেন না এই অসুখে আক্রান্তরা।


৮. আচমকাই মেজাজ বদলে যেতে থাকে অ্যালজাইমার্স রোগীদের। পরিচিত এবং ঘনিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গেও অকারণে চিতকার করে কথা বলতে দেখা যায়।


৯. স্মৃতিভ্রংশের সমস্যা হলে রোগীদের মধ্যে সন্দেহ প্রবণতা, উদ্বেগ, অবসাদের মতো লক্ষণ দেখা দেয়।


১০. বাড়িতে এমনকি কাজের জায়গাতেও প্রিয় ব্যক্তিদের সঙ্গে সহজ স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে সমস্যা দেখা দেয় অ্যালজাইমার্স রোগীদের।


এমন কোনওরকম লক্ষণ দেখা দিলে বিশেষজ্ঞরা সবসময় প্রথমেই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করার নির্দেশ দেন। কারণ, এই অসুখের চিকিতসা সঠিক সময় না হলে তা মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে বলে জানাচ্ছেন তাঁরা।


 


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।