কলকাতা: বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে খাদ্যাভাসে পরিবর্তন আনা সবচেয়ে জরুরি। কারণ বয়স যত বাড়ে আমাদের পেশীর ক্ষয় হতে দেখা যায়। এর জেরে বিভিন্ন ধরনের রোগ বাসা বাঁধতে পারে শরীরে। শুধু তাই নয়, একাধিক সমস্যায় কার্যত জর্জরিত হয়ে যেতে পারেন আপনি। তাই সময় থাকতেই সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। বয়স বৃদ্ধি সঙ্গে তাল মিলিয়ে স্থাস্থ্যসম্মত খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন। তবে এক্ষেত্রে জেনে নেওয়া প্রয়োজন যে কী কী খাবেন।


তাজা খাবার খান- সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে গেলে সতেজ শাকসবজি এবং ফলমূলের পাশাপাশি তাজা খাবার খাওয়ার অভ্যাস রাখুন। পুরনো, বাসি, ফ্রিজের খাবার যত কম খাবেন ততই মঙ্গল। গবেষণা অনুসারে বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের শরীরে পেশীর ক্ষয় বেশি হয়। তাই মহিলাদের পাশাপাশি পুরুষরাও কিন্তু বয়স বৃদ্ধিকে অবহেলা করবেন না। তাজা খাবার খান এবং সুস্থ থাকুন। এটাই হোক আপনার জীবনের মূলমন্ত্র।


The Whole30 Diet- বয়স বাড়লে খাওয়াদাওয়ায় অনেক নিয়ম মেনে চলতে হয়। তারই একটি নমুনা হল এই Whole30 ডায়েট। এক্ষেত্রে মূলত চিনি এবং চিনিজাতীয় খাবার একেবারেই বাদ রাখা হয়। এছাড়াও বাদ থাকে দুগ্ধজাত উপকরণ। এর পাশাপাশি দানাশস্য, শিম এবং যেকোনও ধরনের প্রসেসড ফুড এই বিশেষ ধরনের ডায়েটে একেবারেই বাদ রাখা হয়।


থালি জাতীয় খাবার- ভারতীয় থালিতে যে ধরনের বেসিক খাবার থাকে সেগুলোর উপরেই জোর দিন। অর্থাৎ আপনার ডায়েটে রাখুন বিভিন্ন ধরনের ফল, শাকসবজি। অতি অবশ্যই খেয়াল রাখবেন কোনওভাবেই যেন আপনার শরীরে পুষ্টির ঘাটতি না হয়। কারণ অপুষ্টি একসঙ্গে অনেক রোগের সম্ভাবনা বৃদ্ধি করতে পারে। সহজপাচ্য হিসেবে খিচুড়ি এবং ডালিয়া খেতে পারেন। তার মধ্যে দিতে পারেন বিভিন্ন সবজি। বিশেষ করে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকেরই দাঁতের সমস্যা দেখা যায়। ফলে নরম খাবার যা বেশি চিবোতে হবে না, সেই খাবার খেলে তা সহজে হজম হবে। সহজপাচ্য খাবার খাওয়া এবং তাজা খাবার ডায়েটে রাখাই সুস্থ থাকার অন্যতম উপায়।

শরীর চর্চা- শুধু ভাল খাবার খেলেই হবে না। প্রয়োজন সঠিন শরীরচর্চাও। যেমন- হাঁটা বা সাধারণ যোগব্যায়াম করতে পারেন। সাইক্লিং, সাঁতার কাটা, অ্যারোবিক্স--- সবই করতে পারেন, তবে আপনার শরীরের ক্ষমতা অনুযায়ী। অত্যুৎসাহী হয়ে ক্ষমতার বাইরে গিয়ে শরীরচর্চা করলে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। অজান্তেই চোট পেতে পারেন আপনি।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।


আরও পড়ুন- যোগা ডায়েট কী? যোগাভ্যাস করলে কোন কোন খাবার খাবেন? জানুন বিস্তারিত