কলকাতা : ছোটবেলা থেকেই আমাদের পড়ানো হয় যে শরীর সুস্থ রাখতে ভিটামিন ডি (Vitamin D) কতটা প্রয়োজনীয়। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে, গাঁটের ব্যথা, কোমরে ব্যথা, পেশির যন্ত্রণা অর্থাৎ হাড় সংক্রান্ত যেকোনও সমস্যা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে ভিটামিন ডি। ভিটামিন ডি-এর অভাবে আর্থারাইটিস, রিকেটস, অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগের ঝুঁকি বাড়ে। আমরা সকলেই জানি যে, সূর্যের আলো থেকে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। কিন্তু ভিটামিন ডি-এর একমাত্র উৎস শুধুই সূর্য নয়। এমন অনেক খাবার রয়েছে, যা থেকেও ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। নিয়মিত সেই সমস্ত খাবার তালিকায় রাখলে আর্থারাইটিস কিংবা হাড়ের বিভিন্ন অসুখের ঝুঁকি কমানো সম্ভব হয়।


১. স্বাস্থ্যের উন্নতিতে ডিমের উপকারিতা অনেক। প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং ক্যালশিয়াম থাকায়, প্রতিদিন খাবারের তালিকায় অবশ্যই ডিম রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা। পাশাপাশি ভিটামিন ডি-এর ঘাটতিও পূরণ করে। ডিম খেতে সুস্বাদুও আর রান্না করাও সহজ।


২. ভিটামিন ডি-এর আর এক উৎস দই। দুধ দিয়ে তৈরি হলেও দই হজম হয় তাড়াতাড়ি। ত্বক, চুল এবং স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হিসেবে নিয়মিত দই খাওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।


৩. ছোটবেলা থেকেই মায়েরা দুধ খাওয়ায় শিশুদের বিশেষ জোর দেন। তার কারণ, দুধে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ডি। যা ছোটবয়সে হাড়ের গঠন সঠিক রাখতে সাহায্য করে এবং স্বাস্থ্যকরও বটে।


৪. মাশরুম শুধু সুস্বাদুই নয়। মাশরুমের উপকারিতাও অনেক। ভিটামিন ডি-এ ভরপুর মাশরুম থাকুক রোজকার খাবারের তালিকায়।


৫. প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং ভিটামিনে ভরপুর পালং শাক রোজকার খাবারের তালিকায় রাখার পরামর্শ পুষ্টিবিদদের।


৬. সোয়াবিনকে অনেকেই মাংসের সঙ্গে তুলনা করেন। সোয়াবিন শুধু মাংসের মতো খেতেই সুস্বাদু নয়, উপকারিতাতেও কম যায় না সোয়াবিন। ভিটামিন ডি-এ ঠাসা সোয়াবিন শরীরের জন্য দারুণ উপকারী।


 


 


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।