কলকাতা: গরম বাড়তে থাকলে হিটস্ট্রোকে (Heatstroke) আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, শরীরের তাপমাত্রা আচমকা বেড়ে গেলে তা হিটস্ট্রোকে পরিণত হয়। গরমকালে প্রায়শই আমাদের আশেপাশে বহু মানুষকে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হতে দেখা যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, হিটস্ট্রোকে দ্রুত চিকিৎসা শুরু না করলে মস্তিষ্ক, হৃদপিণ্ড, কিডনি এবং শরীরের নানা অঙ্গে তার প্রভাব পড়তে পারে। এমনকি পক্ষাঘাতেও আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। চিকিৎসা শুরু করতে দেরি হলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।


যে যে লক্ষণ দেখে বুঝবেন হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন-


১. শরীরের তাপমাত্রা আচমকা অনেকটা বেড়ে যায় এক্ষেত্রে। ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইটও হয়ে যেতে পারে। 
২. হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হলে কথা জড়িয়ে যেতে পারে, ব্যবহার অসংলগ্নতা টের পাবেন, আক্রান্ত ব্যক্তি কোমাতেও চলে যেতে পারেন।
৩. মাথা ঘোরা এবং বমি হয় এই অবস্থায়।
৪. ত্বকের রঙ আচমকা লাল হয়ে যেতে পারে। শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলেই ত্বকের রঙ লাল হয়ে যায়।
৫. শ্বাস-প্রশ্বাস অস্বাভাবিক হয়ে যায়। হৃদস্পন্দন আচমকা বেড়ে যেতে পারে।
৬. মাথায় প্রবল ব্যথা অনুভব করতে পারেন।


আরও পড়ুন - Summer Tips: গরমকালে কোন রঙের ছাতা সূর্যের তেজ থেকে বেশি রক্ষা করে?


হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হলে দ্রুত যা করতে হবে-


বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কোনও ব্যক্তি যদি হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হন, তাহলে দ্রুত তাঁর শরীর থেকে অতিরিক্ত পোশাক খুলে দিন। তাঁকে ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় বসানো দরকার। শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক করার জন্য ঠান্ডা জলে স্নান করিয়ে দিতে পারেন। অথবা ঠান্ডা জল দিয়ে স্পঞ্জ করে দিতে পারেন। আক্রান্ত ব্যক্তির মাথা, ঘাড়, কাঁধ, গলায়, বগলে ভেজা তোয়ালে দিয়ে বারবার মুছে দিন। তাঁরা আরও জানাচ্ছেন যে, চিকিৎসা শুরু করতে দেরি হলে অঙ্গহানি থেকে প্রাণহানি হতে পারে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তির। তাই দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।