কলকাতা : শরীরকে সচল রাখার পাশাপাশি মস্তিষ্ককেও একইভাবে সচল রাখা খুবই জরুরি। করোনা পরিস্থিতিতে বিপর্যস্ত জনজীবনের প্রভাব শুধু যে স্বাস্থ্যে পড়েছে, তাই নয়। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমাদের মস্তিষ্কও। সারাক্ষণই সংক্রমণের আশঙ্কা মাথায় ঘুরছে। তার সঙ্গে রয়েছে পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি এবং কাজের চাপও। ফলে বর্তমান পরিস্থিতিতে মাথায় একরাশ চিন্তার বোঝা প্রায় সকলেরই। অত্যধিক চিন্তার ফলে দেখা দিচ্ছে অনিদ্রার মতো সমস্যাও। এই পরিস্থিতিতে মস্তিষ্ককে সচল রাখা খুবই দরকার। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মস্তিষ্ককে সচল রাখার জন্য স্বাস্থ্যকর খাবারের পাশাপাশি প্রাণায়াম দারুণ উপকার করে।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বহু বছর আগে যখন শরীরচর্চার জন্য জিমের প্রচলন ছিল না, তখন শরীরকে সুস্থ রাখতে প্রাণায়াম ছিল অন্যতম মাধ্যম। এর ফলে শুধু শরীরই নয়, মস্তিষ্কও সচল থাকে। হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে শরীরচর্চার অন্যতম মাধ্যম হিসেবে মনে করা হয় প্রাণায়ামকে। তাঁদের মতে, প্রাণায়ামের ফল মন শান্ত হয়, চিন্তা শক্তির বৃদ্ধি ঘটে। আরও কী কী ভাবে মস্তিষ্কের উন্নতি ঘটায় প্রাণায়াম, তারও বর্ণনা দিয়েছেন তাঁরা।
১. স্ট্রেস কিংবা অবসাদের জন্য মন যদি খুব চঞ্চল হয়ে থাকে, তাহলে প্রতিদিন কিছুক্ষণ প্রাণায়াম করা দরকার। প্রাণায়াম করলে একাগ্রতা বাড়ে। মন শান্ত হয়। এবং সঠিক চিন্তার বৃদ্ধি ঘটে।
২. বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে মানুষের মধ্যে ধৈর্যের অভাব ঘটেছে। খুব অল্পেই অধৈর্য হয়ে পড়ছি আমরা। ধৈর্য এবং সহ্য ক্ষমতা বাড়াতে প্রাণায়ামের জুড়ি মেলা ভার।
৩. নেতিবাচক সমস্ত শক্তিকে এক নিমেষে দূরে সরিয়ে দেয় প্রাণায়াম।
৪. হাঁপানি, ক্যানসার, বিভিন্ন হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা, অনিদ্রার সমস্যা, মাথার যন্ত্রণার মতো সমস্যাগুলোকে প্রতিরোধ করতে পারে প্রাণায়াম। তবে, বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, একদিন প্রাণায়াম করে এই ফল পাওয়া সম্ভব নয়। শরীর এবং মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য প্রতিদিন নিয়ম করে প্রাণায়াম করা দরকার।