কলকাতা : রোজকার জীবনে দাঁতের ব্যথা (Tooth Pain) খুবই সাধারণ একটা সমস্যা। প্রত্যেক বাড়িতেই এমন সমস্যা দেখা যায়। সাধারণ সমস্যা হলেও কখনও কখনও দাঁতের ব্যথা মারাত্মক আকার নিয়ে অসহ্য হয়ে উঠতে পারে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, নানা কারণে দাঁতে ব্যথা হতে পারে। ক্যাভিটি, ইনফেকশন, ক্যালশিয়ামের অভাব এছাড়া আরও অনেক কারণ রয়েছে দাঁতে ব্যথা হওয়ার। বহু মানুষ দাঁতের ব্যথা সহ্য করতে না পারায় পেনকিলার খেয়ে থাকেন। পেনকিলার সাময়িক স্বস্ত্বি দিলেও সঠিক কোনও চিকিৎসা করে না। ফলে সমস্যা সেই থেকেই যায়। পেনকিলারের কার্যক্ষমতা শেষ হয়ে গেলই ফের অসহ্য যন্ত্রণা দেখা দেয়। চিকিৎসকদের মতে, যখন তখন পেনকিলার খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই ক্ষতিকারক। সাময়িক স্বস্ত্বি দেওয়া পেনকিলার পরবর্তীকালে ভয়ঙ্কর আকার নিতে পারে। পেনকিলার খাওয়ার পরিবর্তে ঘরোয়া টোটকা ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
দাঁতের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া টোটকা-
১. দাঁতের ব্যথা কমানোয় দারুণ সাহায্য করে পেঁয়াজ। প্রথমে পেঁয়াজ টুকরো করে কেটে নিতে হবে। এবার দাঁতে যেখানে ব্যথা হচ্ছে, সেখানে এক টুকরো পেঁয়াজ রেখে, সেদিক দিয়ে চিবিয়ে নিন। পেঁয়াজের রস ক্ষতিগ্রস্থ জায়গায় গেলে তা যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দেবে।
২. দাঁতের ব্যথা সারানোয় কাজ দেয় রান্নাঘরে থাকা হিং। খাবারে হামেশাই ব্যবহার করে থাকেন। এবার দাঁতের ব্যথাতেও ব্যবহার করতে পারেন। ২ থেকে ৩ চিমটে হিং নিয়ে তাতে ৩ থেকে ৪ ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এবার দাঁতে যেখানে ব্যথা হচ্ছে, সেখানে লাগিয়ে হালকা হাতে ম্যাসেজ করতে থাকুন। যন্ত্রণার উপশম হবে।
৩. এক গ্লাস হালকা গরম জলে অল্প বিটনুন মিশিয়ে দিন। এবার সেই জল মুখে রাখতে হবে কিছুক্ষণ। দিনে ২ থেকে ৩বার বিটনুন দেওয়া জল মুখে রাখলে দাঁতের ব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন।
আরও পড়ুন - Tomato Ketchup Side Effects: যেকোনও কিছুতে টমেটো সস খাচ্ছেন? অজান্তেই কী মারাত্মক ক্ষতি করছেন?
৪. দাঁতের ব্যথা কমানোয় যুগ যুগ ধরে চলে আসছে সর্ষের তেল এবং নুনের ব্যবহার। বহু বাড়িতে ঠাকুমারা এই টোটকা ব্যবহার করতেন। অর্ধেক চামচ নুনের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা সর্ষের তেল মিশিয়ে তা দাঁতে লাগিয়ে ম্যাসেজ করুন। দাঁতের ব্যথা কমে যাবে।
৫. দাঁতের ব্যথা কমানোয় উপকারী রসুন। ২ থেকে ৩টি রসুন থেঁতো করে দাঁতে যেখানে ব্যথা করছে, সেখানে লাগিয়ে দিন।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।