কলকাতা: শরীর সুস্থ (Healthy) রাখতে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম (Sleep) খুবই জরুরি। শারীরিক এবং মানসিক সুস্থতার জন্য ঘুমের প্রযোজনীয়তা সম্পর্কে জানাচ্ছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। যখন আমাদের শরীর সঠিক পরিমাণে ঘুম পায় না, তখন আমাদের মস্তিষ্ক সঠিকভাবে কাজ করে না। আর এর ফলে নানারকম সমস্যা বা অসুস্থতা দেখা দেয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, আমাদের শরীরকে বিভিন্ন অসুখের হাত থেকে বাঁচায় ঘুম। তাই একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন অন্তত সাত থেকে নয় ঘণ্টা ঘুম (Sleep Benefits) খুবই জরুরি।


পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হলে দেখা দেবে নানা শারীরিক সমস্যা-


গবেষকদের মতে, বহু মানুষের মধ্যেই পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। এর কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা অনিয়মিত লাইফস্টাইল এবং খাদ্যাভ্যাসের প্রভাবের কথাই জানাচ্ছেন। তাঁদের মতে, যদি আমাদের জীবনযাত্রা স্বাস্থ্যকর থাকে, এবং আমরা প্রতিদিন যদি স্বাস্থ্যকর খাবার খাই, তাহলে অনিদ্রার মতো সমস্যা প্রতিরোধ করা সম্ভব। বয়স অনুযায়ী ঘুমের প্রযোজনীয়তা রয়েছে আমাদের। 


আরও পড়ুন - Bones Health: হাড় মজবুত রাখতে নিয়মিত কোন কোন খাবার খাবেন?


বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, করোনা পরিস্থিতিতে আমাদের স্বাস্থ্যের দিকে নজর দেওয়া খুবই জরুরি ছিল। লকডাউন (Lockdown) এবং কোভিডের (Covid 19) সংক্রমণের কারণে আমরা ওয়ার্ক ফ্রম হোম, অনলাইন ক্লাস, অনলাইন মিটিংয়ে আরও বেশি করে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম। ক্রমশ সেই সমস্ত কিছু কাটিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছে মানুষ। তবে, যে সমস্ত নিয়ম সেসময়ে মেনে চলা হত, সেগুলো এখনও মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, হিসেবে তাঁদের মত, লকডাউনের প্রভাব পড়েছে আমাদের লাইফস্টাইলেও। কোভিড পরিস্থিতিতে কাজের চাপ বাড়ার কারণে প্রভাব পড়েছে মস্তিষ্কে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, করোনা পরিস্থিতিতে আমাদের বহু মানুষের লাইফস্টাইল অনেকটাই বদলে গিয়েছে। বদলে গিয়েছে কাজ করার ধরন। ফলে তার প্রভাব মারাত্মকভাবে পড়েছে আমাদের মস্তিষ্কে। এবার এই পরিস্থিতিতে যদি একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের সারাদিনে অন্তত সাত থেকে নয় ঘণ্টা ঘুম না হয়, তাহলে শারীরিক সমস্যার সঙ্গে মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তার জন্য প্রতিদিন স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া যেমন খুবই জরুরি, তেমন স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা মেনে চলাতেও গুরুত্ব দেওয়ার দরকার রয়েছে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।