কলকাতা: সারা বিশ্বেই বাড়ছে ক্যানসারের হার। ব্যতিক্রম নয় আমাদের দেশও। ভারতে ক্যানসারের হার গত কয়েক বছরে অনেকটাই বেড়েছে। ন্য়াশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথের একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ভারতের প্রতি নয়জনের মধ্যে একজনের ক্যানসারের আশঙ্কা রয়েছে। জীবনের কোনও না কোনও সময় তাদের ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ২০২২ সালে ১৪.৬ লক্ষ ব্যক্তি ক্যানসারে আক্রান্ত হন। এই সংখ্যা আগামী দিনে আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা। ২০২৩ সালে সংসদে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ভারতী প্রবীণ পাওয়ার জানান, ২০২৫ সালের শেষে এই সংখ্যা ১৫ লক্ষ প্রতি বছর হতে পারে। 


ক্যানসারে পেটের ভূমিকা


শরীরের বিভিন্ন অঙ্গেই ক্যানসার হতে পারে। যতরকমের ক্যানসার হতে পারে, তার মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশ হল লাইফস্টাইল ক্যানসার। অর্থাৎ জীবনযাপনের কায়দা থেকেই এই ক্যানসারগুলি হয়ে থাকে। আর জীবনযাপনের একটি বড় অংশ হল খাওয়াদাওয়া। কী খাচ্ছি, কতটা খাচ্ছি, ঠিকমতো হজম হচ্ছে কি না, পেটের সমস্যা হচ্ছে কি না -  এমন বেশ কিছু দিক এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। আর এর সঙ্গেই জড়িয়ে রয়েছে ক্যানসারের আশঙ্কা। পেটের মধ্যে পাকস্থলি, খাদ্যনালি, কোলনে ক্যানসার হতে পারে। লিভার, ফুসফুসে ক্যানসারের পিছনে অনেকটা দায়ী থাকে খাওয়াদাওয়াই। এছাড়াও, বেশ কিছু ক্যানসার খাওয়াদাওয়ার থেকে হতে পারে।


পেটের ব্যাকটেরিয়ার ভূমিকা



  • পেটের ব্যাকটেরিয়া ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে। হেলথ সায়েন্স রিভিউতে প্রকাশিত একটি গবেষণা জানাচ্ছে পেটে অন্তত পক্ষে কয়েকশো কোটি ব্যাকটেরিয়া থাকে। এই ব্যাকটেরিয়াগুলি পেটের জন্য উপকারী। খাবার হজম করা ছাড়াও আরও বেশ কিছু কাজ করে থাকে।

  • পেটে থাকা ব্যাকটেরিয়াগুলির মেটাবলাইটস আমাদের রোগ প্রতিরোধী শক্তি জোগায়। শুধু তাই নয়, বিজ্ঞানীদের একাংশের কথায়, এটি কোশের অনাক্রম্যতা গড়ে তোলে। এই অনাক্রম্যতা ক্যানসারের মতো মারণরোগকে প্রতিহত করে। 

  • ব্যাকটেরিয়াগুলি একসঙ্গে মিলে মাইক্রোবায়োম তৈরি করে। যা আদতে ব্য়াকটেরিয়ার বাস্তুতন্ত্র। ক্যানসারের প্রতিরোধে এই মাইক্রোবায়োম পেটের কোলন ও পাকস্থলিকে সুরক্ষিত রাখে। 


কোন ধরনের খাবারে বাড়ে ভাল ব্যাকটেরিয়া



  • পেটের ব্যাকটেরিয়ার বাস্তুতন্ত্র গঠনে সাহায্য করে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার। ফাইবার পেতে তাই ভরসা রাখা ভাল বিভিন্ন শাকসবজিতে।

  • দুগ্ধজাত খাবার প্রোবায়াটিক। অর্থাৎ এটি ভাল ব্যাকটেরিয়ার উৎস। তাই এই ধরনের খাবারও পাতে রাখা যায়।

  • অন্যদিকে প্রিবায়োটিক খাবার যেমন ওটমিল, কলা, বীজজাতীয় খাবারও ব্যাকটেরিয়ার বাস্তুতন্ত্রের খেয়াল রাখে।


ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


আরও পড়ুন - Health Updates: ডিহাইড্রেশন জিরোধার নীতিন কামাথের স্ট্রোকের কারণ ! কীভাবে ?