কলকাতা: অতিরিক্ত ওজন ডেকে আনে নানারকমের অসুখ। ওবেসিটির ফলে মধুমেহ (Diabetes) থেকে কিডনির সমস্যা কিংবা হৃদরোগের শিকার হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। তাই বিশেষজ্ঞরা সবসময়ই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার পরামর্শ দেন। ওজন নিয়ন্ত্রণে (Weight Lose) রাখার জন্য খাদ্যাভ্যাসের পাশাপাশি লাইফস্টাইলেও নজর রাখতে হয়। তাহলে কি জিভের স্বাদ একেবারেই পূরণ করা যাবে না? মুখরোচক কোনও খাবারই খেতে পারবেন না? একেবারেই তা নয়। ওজনও কমবে আবার জিভের স্বাদও পূরণ হবে এমন বেশ কিছু স্ন্যাকস (Snacks) খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।


ওজন কমানোর উপকারী স্ন্যাকস-


১. পিনাট বাটারের সঙ্গে আপেল- পিনাট বাটার স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী। এর উপকারিতা সম্পর্কে আমাদের অজানা নয়। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, পিনাট বাটারের সঙ্গে আপেল খেলে পেটও ভর্তি থাকে আবার তা স্বাস্থ্যকরও অত্যন্ত। ওজনও কমে এর ফলে।


২. ডার্ক চকোলেটের সঙ্গে আমন্ড বাদাম- ডার্ক চকোলেট এবং আমন্ড বাদাম দুটোই অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। ওজন কমানোর সঙ্গে শরীরকেও সুস্থ রাখে। এতে থাকা ফাইবার এবং অন্যান্য উপকারী উপাদান নানা অসুখ প্রতিরোধ করে। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট। পুষ্টিবিদদের মতে, আমন্ড বাদামের সঙ্গে চকোলেট চিপসও খেতে পারেন। 


আরও পড়ুন - Heart Attack: মহিলাদের হার্ট অ্যাটাক হলে এই পদ্ধতি ব্যবহার করুন


৩. ফল- টাটকা ফলের উপকারিতার জুড়ে মেলা ভার। স্ন্যাকস হিসেবে অন্যান্য খাবারের থেকে তালিকায় থাকুক আপেল, পেয়ারা, আঙুর, লেবুর মতো ফল। এতে থাকা ফাইবার এবং অন্যান্য পুষ্টিকর উপাদান যেমন ওজন কমায়, তেমনই পেটও ভর্তি রাখে। এর সঙ্গে দইও খেতে পারেন।


৪. ডিম সেদ্ধ- ডিম সেদ্ধ খেতে অনেকে পছন্দ করেন আবার অনেকে পছন্দ করেন না। কিন্তু বেশি সেদ্ধ করা ডিম স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। স্ন্যাকস হিসেবে সেদ্ধ ডিম খেতে পারেন। তার সঙ্গে বাদাম এবং টক দইও খাওয়া যেতে পারে।


৫. প্রোটিন স্মুদি- যতক্ষণ না ভারি কোনও খাবার খাচ্ছেন, ততক্ষণ স্ন্যাকস হিসেবে খেতে পারেন প্রোটিন স্মুদি। এটি স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। ফল দিয়ে স্মুদি তৈরি করতে পারেন। আবার সব্জি দিয়েও তৈরি করা যায়। অ্যাভোক্যাডো, শিয়া সিডস, মাখন দিয়ে সহজেই তৈরি করে ফেলুন স্মুদি। গ্রিক ইওগার্টও ব্যবহার করতে পারেন এর সঙ্গে। খেতেও 


এর পাশাপাশি সারাদিনে প্রচুর পরিমাণে জল খেতে ভুলবেন না যেন। তবেই সুস্থ থাকবে শরীর।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।