কলকাতা: হজমপ্রক্রিয়া থেকে রক্তচাপের (Blood Pressure) হেরফের। একাধিক সমস্যার সমাধানে সাহায্য় করে বিট (Beetroot)। নতুন একটি গবেষণা বিটের আরও একটি উপকারিতার কথা বলছে। বিটের রস ধমনীর  প্রদাহ ঠেকাতে সাহায্য করে, যা করোনারি হার্ট ডিজিজের (Coronary Heart Disease) কারণ।


কী এই রোগ?
করোনারি আর্টারি ডিজিজ (coronary artery disease) বা করোনারি হার্ট ডিজিজ (coronary Heart Disease) মূলত হৃৎপিণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ধমনীর রোগ। যখন ধমনী সরু হয়ে যায় বা ধমনীর ভিতরের দেওয়ালে কোলেস্টেরল জমে যায় তখন এই সমস্যা হতে পারে। এই সময় ধমনীর দেওয়ালে প্রদাহ হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই পরিস্থিতি বাড়তে বাড়তে একসময়  হার্ট অ্যাটাক (Heart Attack) হতে পারে।


এই পরিস্থিতিতে সাহায্য করতে পারে বিট বা বিটের রস। ব্রিটিশ হার্ট ফাইন্ডেশন (British Heart Foundation)-এর ফান্ডে গবেষণা হয়েছে। ব্রিটিশ কার্ডিওভাস্কুলার সোসাইটি কনফারেন্সে (British Cardiovascular Society Conference) এই গবেষণাপত্রটি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানেই বলা হয়েছে, প্রতিদিন এক গ্লাস বিটের রস করোনারি হার্টের রোগ ঠেকাতে কতটা কার্যকরী।


বিটের রসের মধ্যে ইন অর্গানিক (Inorganic) নাইট্রেট (nitrate) পাওয়া যায়। যা শরীরে গিয়ে নাইট্রিক অক্সাইড (Nitric oxide) তৈরি করে। যার খুব ভাল অ্যান্টি ইনফ্ল্যামাটরি (Anti Inflamatory) বা প্রদাহরোধী গুণ রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, যাঁদের হৃদরোগের সমস্য়া রয়েছে তাঁদের শরীরে নাইট্রিক অক্সাইডের মাত্রা কম হয়। কারণ যে এনজাইম এটা তৈরি করে তা কম সক্রিয় হয়। বিট সেটার অভাবই পূরণ করে। এর ফলে এন্ডোথেলিয়াম (endothelium)-ঠিক হয়। এটাই নাকি রক্তবাহী নালির ভিতরে থাকে যা রক্তবাহী নালির কাজ ঠিকমতো চালাতে সাহায্য করে। প্রদাহের কারণে এটি নষ্ট হয়ে যায় এবং রক্তবাহী নালি ঠিকমতো কাজ করে না।


এছাড়াও আরও একাধিক উপকার রয়েছে বিটের:



  • রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

  • পেশির শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

  • বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, ডিমেনশিয়া রুখতেও নাকি কার্যকরী বিট।

  • ক্যলোরির মাত্রা কম থাকায় এবং প্রায় কোনও ফ্যাট না থাকায় ওজন কমাতেও কার্যকরী।

  • পটাশিয়াম এবং আরও একাধিক খনিজের ভাল উৎস এই আনাজ।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।


আরও পড়ুন: ওজন কমাতে ডায়েট সোডা খাচ্ছেন? উপকার হচ্ছে নাকি ক্ষতি?