Meditation: প্রতিদিন মেডিটেশন (Meditation) বা ধ্যান করলে আমরা অনেক উপকার পেতে পারি। বিশেষ করে মনকে শান্ত বা স্থির করার জন্য নিয়মিত মেডিটেশন করা উচিত। কর্মসূত্রে হোক বা পারিবারিক কারণ, আমরা বিভিন্ন বিষয়ে চাপে থাকি। মানসিক চাপ থেকে বাড়ে স্ট্রেস (Stress) এবং অ্যাংজাইটি। এই জাতীয় সমস্যা দূর করার ক্ষেত্রে মেডিটেশনের গুরুত্ব অপরিসীম। এবার দেখে নেওয়া যাক প্রতিদিন মেডিটেশন করলে আপনি কী কী উপকার পাবেন।



  • বাড়বে মহসংযোগ- মনঃসংযোগ বাড়াতে চাইলে ধ্যানের থেকে ভাল আর কিছুই হয় না। যদি আপনি কোনও কাজ নিয়ে সমস্যায় থাকেন, বুঝতে পারেন যে গভীর মনঃসংযোগ না হলে ওই কাজ সম্পন্ন হবে না, তাহলে নিয়মিত মেডিটেশন করা অভ্যাস করুন।

  • দূর হবে অবসাদ- শুধু যে মন শান্ত, ধীর স্থির হয় বা মনঃসংযোগ বাড়ে তাই নয়, মানসিক অবসাদ দূর করতেও মেডিটেশন বা ধ্যানের গুরুত্ব অসীম। সকালবেলা কিছুক্ষণ মেডিটেশন করতে পারলে সারাদিন রিফ্রেশ লাগবে আপনার।

  • অ্যাংজাইটি দূর করে মেডিটেশন- মানসিক অবসাদ বা চাপের পাশাপাশি অ্যাংজাইটি বা উৎকণ্ঠা বোধ দূর হয়। অনেকেই রয়েছেন সামান্য ব্যাপারে উদ্বিগ্ন হয়ে যান। মেডিটেশন বা ধ্যান নিয়মিত ভাবে অভ্যাসের মাধ্যমে এই উৎকণ্ঠা কমানো সম্ভব।

  • আবেগের উপর নিয়ন্ত্রণ মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত থাকলে অনেকক্ষেত্রেই চরম সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। এক্ষেত্রে মেডিটেশন করলে আপনি নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতাও লাভ করবেন।

  • অন্যমনস্কতা দূর করে- অনেকের স্বভাব থাকবে সবকিছু ভুলে যাওয়ার। এই অভ্যাস মারাত্মক আকার নিতে পারে। এই অমনযোগ দূর করতেও মেডিটেশন বা ধ্যান খুব ভাল ভাবে কাজ করে।

  • অনিদ্রার সমস্যা থাকলে সেটাও কমাবে, বলা ভাল দূর করবে মেডিটেশনের অভ্যাস। মেডিটেশন করলে আমাদের শরীর শান্ত হয়, শিথিল হয়। তার ফলে ভাল ঘুম হয়। শরীরের ক্লান্তি দূর হয় এবং বিশ্রাম পাওয়া যায়।

  • মেডিটেশন করার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চলা প্রয়োজন। প্রথমে একটানা অনেকক্ষণ ধ্যান করতে পারবেন না অল্প অল্প সময় করে অভ্যাস করতে হবে।

  • ধ্যান বা মেডিটেশন করার সময় আপনার আশপাশ শান্ত থাকা প্রয়োজন। অর্থাৎ যেখানে বসে আপনি ধ্যান করছে সেই জায়গা শান্ত থাকা দরকার। প্রয়োজনে হাল্কা মিউজিক চালিয়ে নিতে পারেন। অনেকে ধ্যান বা মেডিটেশন করার ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞের পরামর্শও নিয়ে থাকেন।


আরও পড়ুন- চুলের দ্রুত বৃদ্ধির জন্য নিয়ম করে মেনুতে রাখুন ভিটামিন বি সমৃদ্ধ খাবার, কী কী খেতে পারেন?