কলকাতা: গত আড়াই বছরে সারা বিশ্বের মানুষের জীবনযাত্রা বদলে গিয়েছে অনেকটাই। করোনা অতিমারির (Coronavirus) কারণে সংক্রমণের আশঙ্কা এড়াতে অনেক অভ্যাস বদলাতে হয়েছে। তার পাশাপাশি প্রিয়জনকে সুস্থ রাখার চিন্তায় সবসময় মাথায় ঘুরপাক খায়। তবে, বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অতিমারি পরিস্থিতির কারণে শারীরিক সমস্যার তুলনায় বেড়েছে মানসিক সমস্যা। অনেকটা সময় ঘর বন্দি থাকার ফলে স্ট্রেস, অবসাদ, উদ্বেগের মতো সমস্যা বেশি মাত্রায় দেখা দিয়েছে। শুধু বড়দের ক্ষেত্রেই নয়, মানসিক সমস্যা দেখা দিয়েছে শিশুদের (Children) মধ্যেও। 


বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, করোনা পরিস্থিতির সময়ে পড়ুয়াদের পড়াশোনায় প্রভাব পড়েছে অনেকটা। দীর্ঘদিন বন্ধ থেকেছে স্কুল। তারপর সংক্রমণের মাত্রা কমতে স্কুল খুলেও গিয়েছে। কিন্তু বেশ কিছুটা সময় বাড়িতে থেকে অনলাইনে পড়াশোনা করার পর ফের স্কুলে যাওয়ার অভ্যাসের বড়সড় প্রভাব পড়েছে শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যে (Mental Health)। কিন্ডারগার্টেন থেকে বড় ক্লাসের পড়ুয়া, সকলের মধ্যেই একই সমস্যা দেখা দিয়েছে। স্ট্রেসের শিকার হচ্ছে তারা। কীভাবে শিশুদের স্কুলের স্ট্রেসের (School Stress) সমস্যা থেকে রক্ষা করবেন, সে সম্পর্কে পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।


শিশুদের স্ট্রেসের হাত থেকে প্রতিরোধের উপায়-


১. বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, শিশুদের মধ্যে থেকে স্ট্রেসের সমস্যা দূর করতে ওদের সঙ্গে কথা বলা প্রয়োজন। এই পরিস্থিতিতে ওদের মাথার যন্ত্রণা কিংবা পেটের যন্ত্রণা হতে পারে। পড়াশোনার মাঝে মাঝে তাই বিরতি নিয়ে ওদের মন ভালো রাখা দরকার।


২. শিশুদের মধ্যে একাগ্রতা বাড়াতে ওদের মন শান্ত রাখতে প্রাণায়াম করা খুবই জরুরি। এতে ওদের মধ্যে থেকে স্ট্রেস করে যাবে। স্ট্রেসের সঙ্গে সঙ্গে উদ্বেগ, অবসাদের সমস্যাও দূর হবে। 


আরও পড়ুন - Hypnic Jerk: ঘুমের মধ্যে মনে হচ্ছে আচমকা পড়ে যাচ্ছেন? কী কারণে হয় এমন?


৩. আজকের দিনে পড়াশোনার জন্য প্রযুক্তির উপর নির্ভর করতে হয় শিশুদের। ব্যবহার করতে হয় স্মার্টফোন, কম্পিউটারের মতো বৈদ্যুতিন যন্ত্র। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছে, একটানা স্মার্টফোন কিংবা কম্পিউটারের সামনে ওদের রাখলে তলবে না। পড়াশোনার সময়টা ছাড়া এগুলি ওদের হাতে না দেওয়াই ভালো। পরিবর্তে ব্যায়াম, যোগাভ্যাস, খেলাধুলোর অভ্যাস করান।


৪. শিশুদের সুস্থতার জন্য প্রতিদিন অন্তত ৯ থেকে ১২ ঘণ্টা ঘুম খুবই জরুরি। প্রতিদিন নিয়ম করে ওদের সঠিক সময়ে ঘুমের অভ্যাস করতে হবে। তবেই স্ট্রেস, উদ্বেগের সমস্যা দূর হবে।


৫. স্ট্রেস, অবসাদ, মানসিক স্বাস্থ্যের নানা সমস্যা প্রতিরোধ করতে নজর রাখতে হবে খাবারের তালিকাতেও। প্রতিদিন পুষ্টিকর খাবার রাখতে হবে। তবেই মস্তিষ্ক সুস্থ থাকবে।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।