কলকাতা: রান্নার অত্যন্ত চেনা উপকরণগুলির নাম করতে বললে প্রথম দশের মধ্যে নাম আসবে সয়া সসের (soy sauce)। রান্নার অন্যতম উপাদান হিসেবে বহুলব্যবহৃত এটি। কখনও সখনও আবার গার্নিশিংয়েও কাজে লাগে। কিন্তু যাঁরা স্বাস্থ্য সচেতন, তাঁদের অনেকেই মনে করেন দোকান থেকে কিনে আনা সয়া সসের বদলে বাড়িতে তৈরি করা সয়া সস অনেক বেশি নিরাপদ। বাড়িতে কী ভাবে সয়া সস বানাবেন? খুব কঠিন কাজ নয়। তবে ধৈর্য দরকার। 


ধাপে ধাপে এগোনো...
সসটি তৈরি করতে হলে মূলত দু'ধাপে 'ফার্মেন্টেশন' করতে হয়। লাগে, সয়াবিন, গম, নুন এবং জল। সবটা ঠিকঠাক দিয়ে ধৈর্য সহকারে ধাপে ধাপে প্রক্রিয়াটি শেষ করতে পারলে কোনও ধরনের 'প্রিজারভেটিভ' ছাড়াই সয়া-সস কৈরি হয়ে যাবে। তবে একটি বিষয় বলে রাখা দরকার। এই সস বাড়িতে তৈরি করতে কয়েক মাস সময় লাগে। সেই মতো প্রস্তুতি নিয়ে এগোনো দরকার।


কী কী করা দরকার?



  •  প্রথমেই সয়াবিনকে উষ্ণ জলে সেদ্ধ করে নরম তুলতুলে করে নিন।সয়াবিনগুলি ঠান্ডা করে তার সঙ্গে উইট ফ্লাওয়ার মেশাতে হবে। তার পর গোল গোল তালের মতো পাকিয়ে নিতে হবে। ছোট ছোট কেকের আকারে এই মিশ্রণটিকে  কয়েক দিনের জন্য উষ্ণ, আর্দ্র তাপমাত্রায় রেখে 'ফার্মেন্ট' হতে দিতে হবে।তৈরি হয়ে যাবে 'কোজি'।

  • এই 'কোজি'-এর সঙ্গে জল মেশানো হল পরের ধাপের কাজ। জল মিশিয়ে একটা মণ্ড তৈরি করতে হবে। তার পর সেটিকে অন্তত সপ্তাহখানেকের জন্য ফের 'ফার্মেন্ট' হতে দিতে হবে।'ফার্মেন্টেশন' হয়ে গেলে প্রোটিন এবং স্টার্চ ভেঙে গিয়ে চেনা গন্ধ বেরোতে শুরু করার কথা।

  • এর পর ওই মণ্ডটি একটি 'চিজক্লথের' উপরে রেখে নিচে গাঢ় তরলটি সংগ্রহ করে নেওয়া তৃতীয় পর্যায়ের কাজ। এটি সসের বেস।ওই তরলটি গরম করে নেওয়া দরকার। তাতে ওর মধ্যে থাকা সামুদ্রিক লবণ উবে যাবে। তার পর যেটি তৈরি হবে, সেটি  ঠান্ডা করে আবার মণ্ডে মিশিয়ে হবে।  

  • ওই অবস্থায় কয়েক মাস রেখে দিতে হবে।গন্ধের তীব্রতা আরও বাড়বে। কয়েক মাস পর আরও একবার নাড়াচাড়া করে নিয়ে দেখে নেওয়া দরকার যে ওর মধ্যে কোনও 'সলিড' বস্তু রয়ে গেল কিনা। না থাকলে আপনার 'সয়া সস' তৈরি। বোতলে ভরে কয়েক মাস ধরে এটি ব্যবহার করতে পারেন।


আরও পড়ুন:সদ্য মা হয়েছেন? ব্রেস্টমিল্কের জন্য পাতে থাকুক ৫ সুপারফুড