কলকাতা : করোনা পরিস্থিতির পর কাজের চাপও যেন আরও বেড়ে গিয়েছে। বেড়েছে চাকরি খোয়ানোর আশঙ্কাও। কোথাও অফিসে গিয়ে কাজ করতে হচ্ছে তো কোথাও ওয়ার্ক ফ্রম হোম (Work From Home)। সারাদিন কম্পিউটার বা ল্যাপটপের সামনে বসে থেকে সমস্যা দেখা দিচ্ছে শরীরে। একটানা এক জায়গায় বসে থাকার ফলে ভুগতে হচ্ছে কোমরের ব্যথার সমস্যায়। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে, একটানা অনেকটা সময় একইভাবে বসে থাকার কারণে কিংবা বসার পদ্ধতিতে গলদ থাকার জন্য কোমরের ব্যথার (Back Pain) সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে, এই সমস্যা খুব সহজেই এবং ঘরোয়া উপায়েই দূর করা সম্ভব। 


কোন কোন পদ্ধতি মেনে চললে দূর হবে কোমরের ব্যথা?


১. কোমরের ব্যথা দূর করতে বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন প্রতিদিন হলুদ দুধ খাওয়ার। প্রতিদিন গরম দুধে অর্ধেক চামচ হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে খেতে পারেন। দুধে যদি মিষ্টির প্রয়োজন হয়, তাহলে এক চামচ মধুও মিশিয়ে দিতে পারেন। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে নিয়মিত হলুদ দুধ খেলে শরীরের ব্যথা বেদনা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।


২. বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন যে, সকাল কিংবা বিকেলে চা খাওয়ার অভ্যাস বহু মানুষেরই রয়েছে। চা-এর মাধ্যমেই দূর করতে পারবেন কোমরের ব্যথা। তবে, সাধারণ চা খেলে হবে না। কোমরের ব্যথা দূর করতে আদা দেওয়া গ্রিন টি খেতে হবে। আদা গ্রিন টি ব্যাগ বাজারে সহজেই পাওয়া যায়। এছাড়া গ্রিন টি করার সময় আদা ব্যবহার করলেও ফল পাওয়া যায়।


৩. কোমরের ব্যথাকে দূর করতে ঘুম দারুণ উপকারী। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সারাদিনের সমস্ত প্রয়োজনীয় কাজ সেরে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ুন এবং অনেকটা ঘুম প্রয়োজন। যে কোনও রকমের ব্যথা, যন্ত্রণা, স্ট্রেস, অবসাদ দূর করতে সাহায্য করে ঘুম।


আরও পড়ুন - Health Tips: অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি কমায় একটি মাত্র কাজ, জানা আছে সেটা কী?


৪. একটানা একই জায়গায় অনেকক্ষণ বসে থাকলে কোমরের ব্যথার সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাঁদের পরামর্শ প্রথমেই নিজের বসার ধরনটা দেখে নিন। একটানা বসে থাকবেন না। বরং কাজের ফাঁকে ১ ঘণ্টা অন্তর একবার উঠে ৫ মিনিটের জন্য হেঁটে নিন।


৫. শরীর সুস্থ রাখতে যোগাসনের জুড়ি মেলা ভার। কোমর, পেশি এবং গাঁটের ব্যথাকে নিমেষে দূর করতে পারে যোগা। নিয়মিত যোগা করার অভ্যাস রাখুন।


৬. সারাদিনের কাজের শেষে ঘুমোতে যাওয়ার কিছুক্ষণ আগে ফুট বাথ করে নিতে পারেন। গরম জলে পা ডুবিয়ে রাখুন বেশ কিছুটা সময়। এরপর পায়ে ভালো করে ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করতে ভুলবেন না। ফুট বাথ করে ঘুমোতে যান। সকালে উঠে দেখবেন ক্লান্তি দূর হয়ে একেবারে তরতাজা লাগছে।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।