কলকাতা: শরীরের অন্যান্য অংশের তুলনায় কনুই, হাঁটুর রং বেশি কালো। এর কারণ সবসময় ময়লা নয়। বরং এই দুটো অংশের ত্বকে মেলানিনের পরিমাণ বেশি। এছাড়াও নিয়মিত রোদ লাগলে পিগমেন্টেশন বেশি হয়। যাকে বিশেষজ্ঞরা হাইপারপিগমেন্টেশনও বলে থাকেন।


হাঁটু, কনুই বেশি কালো কেন ?


পিগমেন্টেশন ছাড়াও আরও একটি কারণের কথা বিজ্ঞানীরা বলে থাকেন। তা হল মেলানিন। মেলানিন রঞ্জক ত্বকের রং কালো করে দেয়। হাঁটু ও কনুইয়েও মেলানিন বেশি থাকে। এছাড়াও, শরীরের বেশ কিছু অংশ এমন বেশি কালো হয়। সেখানেও মেলানিন থাকে। 


হাঁটু, কনুইয়ের কালচেভাব দূর করার উপায়


কাটা আলু -  আলুর মধ্য়ে ব্লিচিং গুণ রয়েছে। এটি ডার্ক স্পট দ্রুত তুলে ফেলতে পারদর্শী। শুধু তাই নয়, আলু কোনও কাটা দাগও ফিকে করে দিতে পারে। আলু পাতলা করে কেটে নিন প্রথমে। এবার কনুই ও হাঁটুতে ঘষে নিতে হবে। এতে কালোভাব অনেকটাই ফিকে হয়ে যায়। ভাল ফলাফল পেতে আলু লেবুর রসে চুবিয়ে নিতে পারেন।


দুধ ও বেকিং সোডা - দুধ ও বেকিং সোডা ত্বকের কালো ভাব ও ডার্ক স্পট দূর করতে সাহায্য করে। দুধ কালোভাব অনেকটাই ফিকে করে দেয়। এক্সফোলেয়েটিং স্ক্রাব হিসেবে এই দুটিই ব্যবহার করা হয়ে থাকে। দুধ ও বেকিং সোডা মিশিয়ে কনুই ও হাঁটুতে লাগিয়ে নিন প্রথমে। দশ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।


অ্যালোভেরা - অ্যালোভেরা ত্বক থেকে হাইপারপিগমেন্টেশন দূর করে। খুব সহজেই কাজ করে বলে আলাদা করে আর কিছু এতে না মেশালেও চলবে। অ্যালোভেরা কনুইতে ৫ মিনিট লাগিয়ে রেখে দিন। এর পর হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।


হলুদ, দুধ ও মধু - হলুদ, দুধ ও মধু দিয়ে ত্বকের কালচে ভাব সহজেই দূর করা যায়। হলুদ ত্বকের পিগমেন্টেশন দূর করে। মধু ও দুধ ত্বককে আর্দ্র রাখে। এই তিনটির মিশ্রণ ১০ থেকে ১৫ মিনিট লাগিয়ে ধুয়ে ফেলুন।


গ্রিন টি - প্রাকৃতিক স্ক্রাবার দিয়ে দাগ তোলার জন্য সেরা বিকল্প হতে পারে গ্রিন টি। গ্রিন টি-এর পাতায় রয়েছে এপিগ্যালোক্যাটেচিন গ্যালেট। এই বিশেষ উপাদান ত্বকের রং হালকা করে। চা করে নেওয়ার পর পাতাগুলি হাঁটু ও কনুইয়ে দশ মিনিট লাগিয়ে রেখে দিন। এর পর ধুয়ে ফেলুন হালকা গরম জল দিয়ে।


ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


আরও পড়ুন - Omelette: ডিমভাজা খুব প্রিয় পদ ? খেলে কতটা উপকার ?