কলকাতা: সুস্থ থাকতে গেলে যে যে বিষয়গুলি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তার মধ্য়ে রয়েছে ঠিকমতো ডায়েট। পুষ্টির দিকে খেয়াল রাখলে শরীর যেমন সুস্থ থাকে, তেমনই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও ঠিক থাকে। মরসুম বদলের সময় সহজেই ঠান্ডা লাগা বা আরও নানা রকম সমস্যা দেখা যায়। তা সহজেই এড়ানো সম্ভব যদি ডায়েটে নজর দেওয়া হয়। 


মরসুমি ফল থেকে আনাজ। মাছ থেকে উদ্ভিজ্জ প্রোটিন। সুস্থ থাকার জন্য প্রয়োজন সবটাই। সবকিছুই ভারসাম্য রেখে খেলে সহজেই মিলবে প্রয়োজনীয় পুষ্টি। 


অতিরিক্ত চিনি, চিনিজাতীয় খাবার, উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাবার। বিশেষ করে ফাস্টফুড বা প্রসেসড ফুড শরীরের নানা ক্ষতি করে। সেক্ষেত্রে অনেকসময়ই প্রয়োজননীয় পোষকপদার্থ থাকে না খাবারে। পাঁচটি এমন খাবার রয়েছে যা থেকে সহজেই প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাওয়া সম্ভব।


শাকজাতীয় আনাজ:
হৃদযন্ত্র থেকে মস্তিষ্ক, সবকিছুর জন্য প্রয়োজনীয় শাকজাতীয় খাবার। পালং শাক, পুঁইশাকের মতো যা যা শাক রয়েছে সবকটিই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ধরনের আনাজে ভিটামিন সি এবং ভিটামিন কে রয়েছে। এছাড়াও বিটা ক্যারোটিন এবং ফলেট থাকে শাক-আনাজে। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। সম্ভব হলে নিয়মিত পাতে রাখা উচিত, শাক-জাতীয় যে কোনও খাদ্য। 


দই:
দই বা ইয়োগার্ট-জাতীয় খাবারকে প্রোবায়োটিক ফুড বলা হয়। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এটি। এতে যে ব্যাকটেরিয়া থাকে তা মানবদেহের জন্য প্রয়োজন। পুষ্টিপদার্থ শরীর যাতে শোষণ করতে পারে তার কাজ করে এটি। পাশাপাশি, পাচনতন্ত্রে এই ব্যাকটেরিয়ায় সংখ্যা পর্যাপ্ত থাকলে তবেই আমাদের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা কাজ করবে।     


টকজাতীয় ফল:
যে কোনও টকজাতীয় ফলই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ভাল। পাতিলেবু, কমলার মতো যে কোনও  লেবুতেই ভরপুর ভিটামিন সি রয়েছে। একই কাজ দেবে আমলকিও। পাশাপাশি আঙুরও ভিটামিন সি -এর উৎস। প্রয়োজনে প্রতিদিন একটি করে পাতিলেবু খেলেও উপকার মিলবে। বেরিজাতীয় ফলেও মিলবে উপকার।


প্রয়োজনীয় প্রোটিন:
এতক্ষণ যা যা খাওয়ার কথা বলা হয়েছে। তা মূলত ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর। রোগ প্রতিরোধ শক্তি ঠিক রাখতে এবং সুস্থ থাকতে প্রয়োজন প্রোটিনও। তার জন্য আমিষ ও নিরামিষ নানা ধরনের খাবার রয়েছে। আমিষাশীরা সামুদ্রিক মাছ, ছোট মাছ, মাংস, ডিম সবকিছুর উপরেই ভরসা করতে পারেন। নিরামিষাশীদের প্রোটিনের উৎসের জন্য় অন্যতম ব়়ড় ভরসা হল পনির, সয়াবিন। এছাড়াও বিভিন্ন ডাল, রাজমা, বিনস প্রোটিনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উৎস।


গ্রিন টি:
নজর থাকুক পানীয়তেও। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ভরসা করা যায় গ্রিন টিতে। ভরপুর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে এতে। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতির পাশাপাশি, ত্বকেরও খেয়াল রাখে। 


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।

আরও পড়ুন: এই চার 'বদভ্যাসে' জীবনে নেমে আসে দারিদ্র, বাধা পায় উন্নতি !