কলকাতা: বেশ কিছু রোগ নিয়ে মানুষের মধ্যে অসচেতনতা দেখা যায়। মৃগী বা খিঁচুনি রোগও আদতে তাই। সাধারণ মানুষের মধ্যে এটি নিয়ে সচেতনতার বেশ অভাব রয়েছে। আর তাই নানা ভ্রান্ত ধারণাও বেশি। প্রতি বছর এই দিনটি বিশ্ব মৃগী দিবস হিসেবে পালন করা হয়।  এই দিনটি মৃগী রোগের নানা ভুলদিক গুলি তুলে ধরা হয়। একই সঙ্গে রোগের সত্যিকারের দিকগুলি নিয়ে প্রচার চালানো হয়। সচেতনতা বাড়াতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। 


বিশ্ব মৃগী দিবসের ইতিহাস


বিশ্ব মৃগী দিবস পালন করা শুরু হয় ২০১৫ সালে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সোমবার এই দিনটি পালন করা হয়। সেই হিসেবমাফিক, ২০২৪ সালে এই দিনটি পড়েছে ১২ ফেব্রুয়ারি। তাই ১২ ফেব্রুয়ারি পালন করা হচ্ছে বিশ্ব মৃগী দিবস। তবে এই দিনটি আয়োজনের জন্য এগিয়ে এসেছে দুটি আন্তর্জাতিক সংস্থা। এর মধ্যে একটি হল ইন্টারন্যাশনাল ব্যুরো ফর এপিলেপ্সি। অন্যটি ইন্টারন্যাশনাল লিগ এগেইনস্ট এপিলেপ্সি। এদের যৌথ উদ্যোগে পালন করা হয় বিশেষ দিনটি।


মৃগী রোগটি আদতে কী ?


বিশেষজ্ঞরা মৃগী রোগকে মস্তিষ্কের একটি প্রতিক্রিয়া বলে বর্ণনা করেন। ব্রেনের বিভিন্ন স্নায়ুকোশের মধ্যে ইলেকট্রিক আদানপ্রদান চলতে থাকে। এই ইলেকট্রিক আদানপ্রদানের মধ্যে হঠাৎ করে কোনও তড়িদীয় বিষ্ফোরণ ঘটতে পারে। আর তাকেই খিঁচুনি বা মৃগী রোগের কারণ বলে ধরা হয়। কোনও নির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই, ২৪ ঘন্টার মধ্যে এমন পর পর দুটি খিঁচুনি দেখা দিলে সতর্ক হতে হবে। কারণ সেটি মৃৃগী রোগের লক্ষণ বলেই ধরা হয়।


মৃগী ও খিঁচুনির মধ্যে তফাত 


অনেকেই খিঁচুনিকে মৃগী রোগ বলে ধরে নেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের কথায়, খিঁচুনি আদতে তা নয়। কমবেশি অনেকের জীবনেই এক থেকে দুইবার এমন সমস্যা হতে পারে। মস্তিষ্কের ইলেকট্রিক ব্যবস্থার সমস্যায় এমনটি হয়ে থাকে। কিন্তু সেটিকে মৃগী রোগ বোঝায় না। ঘন ঘন খিঁচুনি দেখা দিলে তখনই মৃগীতে আক্রান্ত বলা যায়।


মৃগী রোগ একটি স্নায়ুগত সমস্যা


মৃগী রোগ নিয়ে বেশ কিছু ভুল ধারণা প্রচলিত রয়েছে। অনেকেই একে মানসিক সমস্যা বলে মনে করেন। কিন্তু আদতে এটি তা নয়। বরং মৃগী রোগ পুরোপুরি স্নায়ুঘটিত সমস্যা। 


আরও পড়ুন - Recurring Cancer: ক্যানসার কেন বারবার ফিরে আসে ? আলোচনায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক