কলকাতা: নামে আইস অর্থাৎ বরফ। কিন্তু শুষ্ক অর্থাৎ ড্রাই। ড্রাই আইস ও নর্মাল আইসের মধ্যে ফারাক মাত্র একটি শব্দের। সেটি হল ড্রাই। কিন্তু এটুকুই বরফের চরিত্র আগাগোড়া বদলে দিতে সক্ষম। কারণ সাধারণ বরফ যতটা সহজে ধরা যায়, খাওয়া যায়, এমনকি বরফ নিয়ে খেলাও যায়, শুষ্ক বরফ বা ড্রাই আইস কিন্তু তেমন নয়। বরং এটি নিয়ে কিছু করার আগে দশবার ভেবে নেওয়াই ভাল। নয়তো চরম বিপদের আশঙ্কা থাকে।
হঠাৎ ড্রাই আইস খাওয়ার কথা কেন ?
ভাবতেই পারেন কেন ড্রাই আইস নিয়ে কথা উঠল। নেপথ্যে রয়েছে একটি সাম্প্রতিক ঘটনা। শনিবার গুরুগ্রামের কিছু ব্যক্তি ড্রাই আইস খেয়েই অসুস্থ হয়ে পড়েন। আসলে খেতে গিয়েছিলেন লাফরেস্তা রেঁস্তরায়। সেখানে খাবারের পর তাদের মুখশুদ্ধি পরিবেশন করা হয়। সেই মিছরিগুলি আদতে চিনি ছিল না। ছিল ড্রাই আইস। যা শরীরের জন্য় ভয়াবহ। মুখে পুরতে না পুরতেই জিভে ক্ষত হয়ে যায় তাদের। কেউ কেউ বমি শুরু করেন। কারও মুখ থেকে রক্ত ঝরে। হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় ৪ জনকে। ড্রাই আইস কেন শরীরের জন্য ক্ষতিকর, কী কী ক্ষতি করে থাকে ? জেনে নেওয়া যাক।
ড্রাই আইস আসলে কী ?
কার্বন ডাই অক্সাইডকে ঠান্ডা ও ঘন করে ড্রাই আইস তৈরি করা হয়। ১৯০০ সালে এটির উদ্ভাবন হয়। ওষুধ, খাবার ও গবেষণার নানা কাজে ড্রাই আইস ব্যবহার করা হয়।
ড্রাই আইসে কী কী বিপদ ?
অক্সিজেনের অভাব - অক্সিজেনের অভাব ঘটাতে পারে ড্রাই আইস। যাকে অ্যাসফিক্সিয়েশন বলা হয়। ছোট স্থানে অনেকটা ড্রাই আইস রাখা থাকলে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বাড়তে থাকে। যার ফলে অক্সিজেন কমে যায়।
কোল্ড বার্ন ও ফ্রস্টবাইট - ঠিকভাবে নড়াচড়া করতে না পারলে ড্রাই আইস থেকে ফ্রস্টবাইট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়াও, ঠান্ডায় জ্বলে যেতে পারে হাত। যাকে কোল্ড বার্ন বলা হয়।
চোখ জ্বালা - বেকায়দায় এটি নাড়াচাড়া করলে চোখ জ্বলে উঠতে পারে। চোখের গুরুতর সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
পরিবহনে সতর্কতা - সাধারণ বিভিন্ন জিনিস সংরক্ষণের জন্য ড্রাই আইস ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এটি তাই পরিবহনের সময়ও সতর্ক থাকতে হয়। কারণ নাড়াচাড়ার কারণে প্রচুর পরিমাণে কার্বন ডাই অক্সাইড তৈরি করে এটি।
ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।