Jackfruit Seed Side Effects: বাজারে গেলেই এখন কাঁঠাল। এঁচোড় পেকে এখন এই বিশেষ ফল খাওয়ার সময়।  অনেকেই ভালবাসেন এই ফল খেতে। কেউ কেউ আবার এই কাঁঠালের বীজও রেখে দেন। ফেলে না দিয়ে এটি শুকিয়ে নেন। এটি দিয়ে বিভিন্ন পদ রান্না করে ফেলেন। কিন্তু কাঁঠালের এই বীজ কি সত্যিই শরীরের জন্য উপকারী? কাঁঠালের বীজ থেকে স্বাস্থ্যের ক্ষতির আশঙ্কা থাকে কী ? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা ?


কাঁঠাল বীজের ক্ষতিকর দিক


১. কাঁঠাল বীজের মধ্যে জ্যাকালিন (লেকটিন) নামের একটি প্রোটিন থাকে। এই প্রোটিন শরীরের জন্য বেশ ক্ষতিকর। কারণ এর মধ্যে পুষ্টিগুণকে নষ্ট করে দেওয়ার ক্ষমতাও রয়েছে। ফলে শরীর যা পুষ্টি পাবে, তার থেকে বেশি পুষ্টিগুণ হারিয়ে ফেলার আশঙ্কা থাকে।


২. জ্যাকলিনের আরও বেশ কিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। জ্যাকলিন প্রোটিনের পাকস্থলির অভ্যন্তরীণ গঠনেরও ক্ষতি করতে পারে। পাকস্থলি আদতে একাধিক স্তরের একটি অঙ্গ। এর ভিতরের স্তরটিকে ক্ষইয়ে দিত পারে লেকটিন বা জ্যাকলিন।


৩. পেটের নিজস্ব একটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে। এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খাবারের সম্ভাব্য বিষক্রিয়াকে প্রতিহত করে। বিষক্রিয়ার প্রভাবকে নষ্ট করে দেয়।  পেটের এই অনাক্রম্যতা তৈরি হয় বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়ার কলোনি। কিন্তু কাঁঠালের বীজ বেশি খেলে এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আক্রান্ত হয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে। এমনকি কিছু ক্ষেত্রে নষ্টও হয়ে যেতে পারে।


তাহলে কী কাঁঠাল বীজ খাওয়া বন্ধ করে দেবেন ?


তাহলে কাঁঠাল বীজ কি খাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে ? নাহ, তা কিন্তু নয়। কারণ হজমশক্তি যাদের বেশি, তাদের এই সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা নেই। তবুও সতর্ক থাকতে কাঁঠালের বীজ খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন। পেটে ব্যথা হলে কাঁঠালের বীজ এড়িয়ে চলাই ভাল।


কাঁঠালের উপকারিতা


কাঁঠালের বীজ নিয়ে সমস্য়া থাকলেও কাঁঠালের বেশ কিছু উপকার রয়েছে। যেমন ধরা যাক —



  • হার্টের জন্য এই বীজ বেশ উপকারী।

  • অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর এই বীজ।

  • রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণেও কিছুটা সাহায্য করে কাঁঠাল।

  • এর ফাইবার পেট ভরিয়ে রাখে।


ডিসক্লেমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


আরও পড়ুন - Cooking Oil Reuse: রান্নার পর কড়াইয়ে তেল বেঁচে গিয়েছে ? এই দিয়ে আর কতবার রান্না করা সম্ভব ?


আপনার পছন্দের খবর এবার হোয়াটসঅ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে।