Junk Food Health Issues: খিদে কি আর সবসময় পায় ! কিন্তু না পেলেও কারা যেন খাওয়াতে চায়। জোর করে মুখের সামনে সাজিয়ে দেয় খাবার। তাই দেখে লোভ লেগে যায় মনের । আর তারপর হাত  খাবারটা পৌঁছে দেয় মুখের কাছে। এই ঘটনাটা এখন কমবেশি অনেক বাড়িতেই দেখা যায়। কিছু খেতে ইচ্ছে করছে। অনলাইন অর্ডার দিয়ে নিমেষে সেই খাবার আনিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এর পর সেটি সাবাড় হয়ে যাচ্ছে কয়েক মিনিটের মধ্যে। কিন্তু এত অনলাইন অর্ডার আর বাইরের খাবার খাওয়ার নেশা বাড়ছে কীভাবে ? সম্প্রতি লিভারপুল ইউনিভার্সিটির গবেষক দল তাঁর দিশা দেখাল। 


বিজ্ঞাপনী খিদে!


ভেনিসে ইউরোপিয়ান কংগ্রেসের সভায় তাদের তরফে একটি রিপোর্ট পেশ করা হয়। তাতে বলা হয়, কিশোর ও তরুণদের এত জাঙ্ক ফুড খাওয়ার নেপথ্যে ফোনের বিভিন্ন অ্যাপ।  এই অ্যাপগুলিতে মাঝে মাঝই খাবারের বিজ্ঞাপন আসে। আর সেই বিজ্ঞাপন দেখেই খিদে যেন মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। এ যেন বিজ্ঞাপনী খিদে!


কোন কোন অ্যাপে বেশি বিজ্ঞাপন ? 


খাবারের বিজ্ঞাপন কিছু নির্দিষ্ট অ্যাপেই বেশি দেখা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। বর্তমানে তরুণ ও কিশোরদের মধ্যে বিভিন্ন অনলাইন গেমিং অ্যাপের রমরমা দেখা যাচ্ছে। আর সেই গেমিং অ্যাপেই থাকছে খাবারের বিজ্ঞাপনী ফাঁদ। গেমের মাঝে মাঝে খাবারের অ্যাড আসে। সেই আড দেখেই বেড়ে যায়। অনলাইন অর্ডারের সংখ্যা বাড়ে। বাড়ে খাবার খাওয়ার পরিমাণও।


তালিকায় ফেসবুক, ইউটিউবও 


খাবারের অ্যাপের এই বিজ্ঞাপনে তাবড় তাবড় সংস্থার নামও জড়িয়ে গিয়েছে। এর মধ্যে বড় নাম হল ফেসবুক ও ইউটিউব। এই দুটি অ্যাপেই গেমিংয়ের লাইভ স্ট্রিমিং হয়। আর সেই স্ট্রিমিং দেখেন হাজার হাজার কিশোর ও তরুণরা। স্ট্রিমিংয়ের ফাঁকেই দেখা যায় খাবারের অ্যাড। যা বাড়িয়ে দেয় খাবারের লোভ।


কেন জরুরি নিয়ন্ত্রণ


কারণ এই অ্যাডগুলির উপর এখনও পর্যন্ত কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। জাঙ্ক ফুড খাওয়ার ফলে স্বাস্থ্যের নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। প্রথমেই দেখা দিতে পারে স্থুলতা বা ওবেসিটি। ওবেসিটি ডেকে আনে আরও গাদাখানেক রোগ। এই রোগগুলির মধ্যে ক্রনিক রোগের সংখ্যা নেহাত কম নয়। এই সব কিছুতে লাগাম টানতেই এই ধরনের বিজ্ঞাপনে বাধানিষেধ চালু করার দাবি উঠেছে।


আপনার পছন্দের খবর এবার হোয়াটসঅ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন - National Dengue Day 2024: দিন দিন কেন বাড়ছে ডেঙ্গির প্রকোপ ?