Laxman Rao Life Story: এক হাতে চা বানান, অন্য হাতে বই লেখেন। একটা সময় শ্রমিকের মতো খেটেছেন। দিনমজুরের কাজ করেছেন। চরম দারিদ্রের মধ্যেও কিন্তু নিজের নেশাটা ছাড়েননি। বই পড়া ও বই লেখা। মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা হলেও ভাগ্যচক্র তাঁকে নিয়ে এসে ফেলেছে দিল্লিতে। বর্তমানে তাই তিনি দিল্লিনিবাসী। লক্ষণ রাওয়ের জীবনকাহিনির পরতে পরতে আশ্চর্য। হাজার প্রতিকূলতা সত্ত্বেও নিজের নেশা থেকে বিচ্যুত হননি চা বিক্রেতা লক্ষণ। বরং যা করে দেখিয়েছেন, তা রীতিমতো সাহসের।


লক্ষণের কাহিনির সঙ্গে মিল গোর্কির


লক্ষণ রাওয়ের জীবনকাহিনির সঙ্গে অনেকটা মিল রয়েছে মাক্সিম গোর্কির। এ যেন অনেকটা মাক্সিম গোর্কির জীবনকাহিনি। ছোট থেকেই তাঁর এমন এক পরিবারে বড় হওয়া যেখানে শান্তি সেভাবে ছিল না। বরং কথায় কথায় ঘৃণা, বঞ্চণা ও অনিশ্চয়তার মধ্যে ভরসা ছিল বই। জীবনের পরবর্তী পর্যায়ে গোর্কি হয়ে ওঠেন এক বিশ্বখ্যাত লেখক। তাঁর লেখা হয়ে ওঠে জগতবিখ্যাত।


কখনও চা বিক্রেতা কখনও আবার শ্রমিক


লক্ষণ রাও যে শুধু চা বিক্রি করেন, তা কিন্তু নয়। এর পাশাপাশি তিনি মধ্যপ্রদেশে শ্রমিকের কাজও করেছেন। মহারাষ্ট্রের তেলগাঁও থেকে ভাগ্যের ফেরে তাঁকে যেতে হয় মধ্যপ্রদেশে। সেখানে গিয়ে শ্রমিকের কাজ নেন। কিন্তু যে কাজই তিনি করুন না কেন, বইয়ের নেশা ছিল তাঁর সঙ্গে। বই পড়ার পাশাপাশি বই ছাপাও শুরু করেন। ১৯৭৯ সালে প্রথম বই লেখেন লক্ষণ রাও। ৭১ বছর বয়সি লক্ষণ নিজের বই নিজেই ছাপিয়েছিলেন। ১০০০ কপি। যে যুগে সেলফ পাবলিশিং প্রায় খুঁজেই পাওয়া যেত না। বইয়ের বিক্রি প্রসঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে লক্ষণ বলেন, প্রথম দিকে তেমন সাড়া না পেলেও পরে সাড়া পেতে শুরু করেন।


২৫টি বইয়ের লেখক লক্ষণ


একটি বা দুটি নয়, দুই ডজনের বেশি বই লিখেছেন লক্ষণ রাও। লক্ষণ রাওয়ের বইয়ের মধ্যে বেশ বিখ্যাত রামদাস বইটি। চা বিক্রেতা থাকাকালিনই একদিন শাংগ্রিলা হোটেল মালিকের নজরে আসেন লক্ষণ। সেখান থেকে তাঁর প্রতিভার কথা জানতে পেরে তাঁকে টি কনসালট্যান্ট বা চা পরামর্শদাতা হিসেবে নিযুক্ত করা হয় শাংগ্রিলাতে। ২০২১ সাল থেকে সেখানেই রয়েছেন লক্ষণ রাও। আপাতত টি কনসালটেন্সির পাশাপাশি বই লেখালেখিতেই মগ্ন তিনি।


আরও পড়ুন - Viral Mutton Maggi: দিল্লির এই ম্যাগির দাম ১০০০ টাকার বেশি ! কী কী মেশানো হয় জানেন ?


আপনার পছন্দের খবর এবার হোয়াটসঅ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে।