কলকাতা: তিন চারদিনের ছুটি পেলেই অনেকে ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করেন। আগামী তিন মাসের মধ্যেও অনেকের তেমন পরিকল্পনা থাকতে পারে। আর তেমনটাই থাকলে ট্রেনে করে কিছু জায়গা ঘুরে দেখার সুযোগ কিন্তু মিস করা যাবে না (Train Travel Tips)। দূরপাল্লার ট্রেন মানেই কোথাও ঘুরতে বেরিয়ে পড়ার আমেজ। সেই আমেজটাকে ভ্রমণের অংশ করতে হলে কয়েকটি ট্রেনের রুটে না চড়লেই নয়। ভারতের নানা প্রান্তে রয়েছে সেই রুট। দেখে নেওয়া যাক একে একে।


শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং রুট


শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং আপনার ভ্রমণের অভিজ্ঞতাকে অন্যমাত্রায় পৌঁছে দেবে। এই রুটের ট্রেন দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের অধীনে। সাত ঘন্টার জার্নিতে রেললাইনের দুই পাশে চায়ের খেত, পাহাড়ি সৌন্দর্য থেকে নানা দৃশ্য চোখে পড়বে (Best Train Travel)। উত্তরবঙ্গের এই সফর স্মরণীয় হয়ে থাকতে পারে।


কন্যাকুমারী থেকে ত্রিবান্দ্রম


কন্যাকুমারী থেকে দক্ষিণেরই আরেকটি স্থান ত্রিবান্দ্রম যেতে পারেন। এমনি এমনি যাবেন কেন ভাবছেন ? আসলে ভারতের তিনদিকের সমুদ্রই চাক্ষুষ করতে পারবেন। একদিকে আরব সাগর, মধ্যে ভারত মহাসাগর অন্যদিকে বঙ্গোপসাগর চোখ জুড়োনো দৃশ্য বলেই মনে হবে।


আজমের থেকে উদয়পুর 


মরু এলাকার মধ্যে দিয়ে এই সফর আপনাকে পৌঁছে দেবে রাজপুতানার রাজত্বে। বিশাল বিশাল কেল্লা, আরবল্লী পর্বত, হ্রদ ও রঙিন গ্রামের মধ্যে এই রেলপথ (Travelling Destination)। যাত্রাপথের গোটাটাই স্মরণীয় হয়ে থাকবে রাজপুতদের জীবনযাপনের দৃশ্যে। উদয়পুরের সমৃদ্ধ ঐতিহ্যও মুগ্ধ করবে নিশ্চিতভাবে।


মেটুপালায়াম থেকে উটি


মেটুপালায়াম থেকে উটি পর্যন্ত রেলপথ নীলগিরি মাউন্টেন রেলওয়ের অধীনে। মনোরম আবহাওয়া, অসামান্য সব প্রাকৃতিক দৃশ্য একের পর এক মুগ্ধ করে চলবে আপনাকে (Travel tips)। শুধু তাই নয়, চা ও কফি খেতের দৃশ্যের পাশাপাশি আঞ্চলিক সংস্কৃতিও নজর কাড়তে বাধ্য।


কালকা থেকে শিমলা


কালকা মেলের নাম তো অনেকেই জানেন। তবে কালকা থেকে পাহাড়ের উদ্দেশ্যে যাত্রা করার অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ অন্যরকম হবে। এই যাত্রাপথে বিশ্বনন্দিত হিমালয় পর্বতের অপরূপ শোভার সাক্ষী হবেন। চোখ ধাঁধাবে বরফশুভ্র পর্বত চূড়া। এছাড়া তো রয়েছেই পার্বত্য অঞ্চলের অসামান্য সব প্রাকৃতিক দৃশ্য। 


ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।


আরও পড়ুন - Health News: চুপিসাড়ে বড় ক্ষতি করছে রাস্তার আলো ! কেন বলছেন গবেষকরা ?