Skin Care Tips: ঘাম ও ধুলোবালির জেরে এখন ত্বকের সমস্যা আর অস্বাভাবিক নয়। অতিরিক্ত ঘামের কারণে শরীরের যে অংশগুলি ঢাকা থাকে, সেখানে নানারকম চর্মরোগ হতে পারে।সাধারণত দাদ, হাজা ও চুলকানির মতো সমস্যাই এই ক্ষেত্রে বেশি দেখা যায়। পাশাপাশি ত্বকের এই সমস্যাগুলি সহজে সারে না। কিছু না কিছু চিকিৎসার দরকার পড়ে। কিন্তু এত সবকিছুর মধ্যে না গিয়েও সহজে এগুলি সারিয়ে তোলা সম্ভব। আর তার জন্য় রয়েছে অ্যাজাডিরাক্টা ইন্ডিকা অর্থাৎ নিম গাছ।


নিম-হলুদের জুড়ি


ত্বকের খেয়াল রাখতে নিম হলুদের সবচেয়ে উপকারী। কারণ নিমের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ। অন্যদিকে হলুদের মধ্য়ে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কারকিউমিন। দাদ, হাজা ও চুলকানির মতো সমস্য়ায় অ্যান্টিব্যাকটেরিয়ালের পাশাপাশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও প্রয়োজন পড়ে। তাই কারকিউমিন না থাকলেই নয়।


কীভাবে তৈরি করবেন নিম-হলুদের মিশ্রণ



  • প্রথমে নিমপাতা ছিড়ে একটি মিক্সারে নিয়ে নিন। এবার এর মধ্য়ে কাঁচা হলুদ ছোট ছোট করে কেটে দিয়ে দিন। 

  • এর মধ্যে সামান্য জল দিয়ে ফুল স্পিডে চালিয়ে নিন দুই মিনিট।

  • তাহলেই তৈরি নিম-হলুদের মিশ্রণ। 

  • অথবা বাড়িতে একটি শিলনোড়া থাকলে তাতেও বেটে নিতে পারেন এই মিশ্রণটি।


কখন কখন প্রয়োগ ?


রাতে শোওয়ার আগে এটি ত্বকের যেই অংশে সমস্যা হয়েছে, সেখানে দিয়ে দিন। সারারাত ওষুধটি কাজ করবে। এছাড়াও, স্নান করার পর শরীরের গোপন এলাকাগুলিতে সমস্যা হলে ব্যবহার করতে পারেন এই মিশ্রণ। 


নিম-অ্যালোভেরার মিশ্রণ


নিমপাতার সঙ্গে অ্যালোভেরার জেল মিশিয়ে নিতে পারেন। এর জন্য় একই ভাবে মিক্সারে নিমপাতা তার মধ্যে জেল ও অল্প জল নিয়ে নিন। এবার ২ মিনিট মিক্সার চালিয়ে নিলেই তৈরি মিশ্রণ। 


নিম-তুলসীর মিশ্রণ


দুটোর মধ্যেই অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ তুঙ্গে রয়েছে। পাশাপাশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টেরও অভাব ঘটবে না। তাই নিম ও তুলসী একসঙ্গে জল দিয়ে মিক্সারে মিক্স করে পেস্ট তৈরি করে নিতে পারেন। এর পর সেটি ত্বকের নির্দিষ্ট স্থানগুলিতে ব্যবহার করতে পারেন।


নিম-কর্পূরের মিশ্রণ


দাদ, হাজার জন্য যে ক্রিম অনেকে ব্যবহার করা হয়, তাতে কর্পূর থাকে। কারণ এটি ত্বকের এই ধরনের সংক্রমণ সারাতে পারদর্শী। নিম কর্পূরের মিশ্রণ বানাতে প্রথমে কর্পূর হামানদিস্তা দিয়ে গুঁড়ো করে নিন। এর পর সামান্য জল, নিম ও কর্পূর মিক্সারে পেস্ট করে নিন।


ডিসক্লেমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


আরও পড়ুন - BP Management Tips: হাই প্রেশার ভোগাবে না আর, সকালে উঠেই করুন এই কাজ


আপনার পছন্দের খবর এবার হোয়াটসঅ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে।