Nomophobia Cause Sign Remedies: ফোবিয়া মানে ভয়। নানা লোকের নানা জিনিসেই ভয় থাকে। তেমনই এক ফোবিয়ার নাম নোমোফোবিয়া। কিন্তু এটি হাল আমলের একটি ভয়‌ অর্থাৎ ভূত প্রেতকে ভয় পাওয়ার মতো বহু। দিনকার পুরোনো ভয় এটি নয়। কিন্তু নোমোফোবিয়া‌ আদতে কী ? কেন মানুষ এই ভয় পায় ? এই ভয় পাওয়ার লক্ষণগুলি বা কী ? জেনে নেওয়া যাক। 

নোমোফোবিয়া কী ?

নোমোফোবিয়া নামটি বেশ কয়েকটি শব্দ জুড়ে তৈরি করা হয়েছে। এখানে নো মানে না, মো অংশটুকু এসেছে মোবাইল ফোন থেকে আর ফোবিয়া মানে যে ভয় তা বোঝাই যাচ্ছে। অর্থাৎ পুরো কথাটি হল নো মোবাইল ফোন ফোবিয়া‌। সোজা বাংলায় মোবাইল ফোন না থাকলে যে ভয় করে। এই ভয় খুব সাম্প্রতিককালে দেখা যাচ্ছে মানুষের মধ্যে‌। মোবাইল ফোন হারিয়ে ফেললে যে আতঙ্ক ও ভয় তৈরি হয় একজনের মনে, তাকেই বিজ্ঞানীরা নাম দিয়েছেন নোমোফোবিয়া। 

নোমোফোবিয়ার কারণ

  • বেশ কয়েকটি মানসিক কারণের কথা এক্ষেত্রে বলে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। তার মধ্যে অন্যতম হল ওসিডি। অর্থাৎ অবসেসিভ কম্পালসিভ ডিসঅর্ডার। ফোন নিয়ে এই অবসেসিভ কম্পালসিভ ডিসঅর্ডারের জেরেই নোমোফোবিয়া হয়।
  • ফোনের নেশাও এর অন্যতম কারণ বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। এখন অনেকেই দিনের একটা বড় সময় ফোনের সঙ্গে কাটাতে ভালোবাসেন বা কাজের সূত্রে কাটান। এর জেরেও এই ভয় বা আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। 
  • ফোনের সঙ্গে অজান্তেই একটি গভীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে মানুষের। যেহেতু এর মাধ্যমে একটি বৃহত্তর জগতের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়। আর এর জেরেই বাড়ে নোমোফোবিয়া।

কী কী লক্ষণ দেখা যায় ?

  • আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ফোন খুঁজে না পাওয়া ব্যক্তি।
  • দুশ্চিন্তা বেড়ে যায়। 
  • উদ্বেগ দেখা দেয়।
  • শ্বাস প্রশ্বাস পাল্টে যায়। 
  • উত্তেজিত হয়ে পড়েন।
  • মনখারাপ হয় দ্রুত।

কীভাবে চিকিৎসা ?

  • বিভিন্ন থেরাপির মাধ্যমে নোমোফোবিয়ার চিকিৎসা করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে কগনিটিভ বিহেভিয়ার থেরাপি, এক্সপোজার থেরাপি।
  • এছাড়াও সাপোর্ট গ্রুপের মাধ্যমে এই ভয় কাটানোর চেষ্টা হয়। একই ভয়ে আক্রান্ত নিজেদের ভয়কে জয় করার অভিজ্ঞতা শোনান। উৎসাহিত করেন অন্যদেরও ভয় থেকে বেরিয়ে আসতে। 

ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

আপনার পছন্দের খবর এবার হোয়াটসঅ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে।

আরও পড়ুন - Health News: প্রকৃতির মাঝে সময় কাটালেই সুগার, প্রেশার থাকবে নিয়ন্ত্রণে; কতক্ষণ কাটাবেন ?