কলকাতা: প্যাচপেচে গরম, ঘামের জন্য টানা অস্বস্তি। অথচ এই আবহাওয়াতেই দিব্যি বেড়ে ওঠে কিছু সুন্দর গাছ। তাদের মধ্যে অন্য়তম হল পান্ডন। পান্ডন গাছ দেখতে কিছুটা ঘাসের মতো হলেও আদতে এটি সেই গোত্রের গাছ নয়। নিজে থেকে এই গাছ হয় না। বরং বাইরে থেকে কলম করে এই গাছ লাগাতে হয়। গাছটি সরাসরি সূর্যালোকে রাখার দরকার পড়ে না। বরং অল্প গরম আর্দ্র আবহাওয়া (অর্থাৎ আমরা যাকে প্যাচপেচে গরম বলি) হলেও এই গাছের লালনপালন করা যায়। 


পান্ডন গাছের গুরুত্ব


পান্ডন গাছ নিয়ে সম্প্রতি ভারতের রেলমন্ত্রক একটি পোস্ট করে। ফেসবুকে করা ওই পোস্টে পান্ডন গাছ লাগানোর পরামর্শ দেয় রেলমন্ত্রক।তার কারণ এটি গরম কমাতেও সাহায্য করে। বাতাস থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড যেমন শুষে নেয়, এই গাছ, তেমনই ঘরের আবহাওয়াকে আরও শুদ্ধ করে। এর ফলে গরমের তীব্রতা এমনিই কমে যায়। পান্ডন গাছে খুব কম ফুল হয়। ফুল দেখা যায় না বললেই চলে। তাই নিজে থেকে নতুন গাছ তৈরির ক্ষমতা নেই এই গাছের। 


পান্ডন গাছের (Pandan Leaves) ইতিহাস


পান্ডন গাছের  ইতিহাস বেশ পুরোনো। প্রাচীন বেশ কিছু সভ্যতার বিবরণেও এই গাছের উল্লেখ পাওয়া যায়। এই গাছের পাতার বেশ সুন্দর গন্ধ রয়েছে। কিছু সূত্রের দাবি, এই গাছ মালুকু আইল্যান্ডে প্রথম পাওয়া যায়। আবার গবেষকদের কথায়, ভারতেও এর চাষ হত। সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকার আবহাওয়া এই ধরনের গাছ চাষের জন্য আদর্শ স্থান। পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ার কিছু দেশে মশলা হিসেবেও জনপ্রিয় এই গাছ। 


পান্ডন গাছ দিয়ে রান্না


পান্ডন গাছের পাতার একটি সুমিষ্ট গন্ধ রয়েছে। তাই রান্নায় এর বরাবর কদর। দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া পৃথিবীর ক্রান্তীয় অঞ্চলে অবস্থিত। আর এই বিস্তৃত ভূখণ্ডের আবহাওয়া এই ধরনের গাছের জন্য আদর্শ। তাইবহুকাল ধরেইএই গাছের চাষ হয় বিভিন্ন স্থানে। পান্ডন গাছের গন্ধের সঙ্গে মিল রয়েছে ভ্যানিলা এসেন্সের । তাই সেই হিসেবেও এর পাতার নির্যাস ব্যবহার করা হয়। দক্ষিণ এশিয়ার কিছু দেশ যেমন সিঙ্গাপুর, কম্বোডিয়া, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপিন্সে এই গাছের প্রবল জনপ্রিয়তা। সেখানে পান্ডন কেকও বানিয়ে খাওয়ার রীতি রয়েছে! 


ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


আপনার পছন্দের খবর এবার হোয়াটসঅ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন - Snoring: ঘুমোলেই একটানা নাসিকা গর্জন, কমবে কীভাবে, এর আসল কারণ ?