কলকাতা: রাতে দিব্যি ঘুমিয়েছেন। কিন্তু পরদিন সকালে পাশে যিনি শুয়েছেন,তাঁর অভিযোগ তিনি ঘুমোতে পারেননি। কারণ আপনার নাক ডাকা। প্রচন্ড শব্দে আপনার নাসিকা গর্জনের জেরে আরই ঘুমই নাকি আসেনি। বা ঘুম এলেই বারবার ভেঙে গিয়েছে। নতুন কেউ আপনার পাশে শুলে এমন অভিজ্ঞতা কমবেশি অনেকের হয়। অনেকেই এই নিয়ে সেই ভাবে চিন্তিত হন না। ভাবেন নাক ডাকা আর এমন কি সমস্যা ! কিন্তু আদতে শারীরিক কিছু সমস্যার কারণেই নাক ডাকার অভ্যাস তৈরি হয়। দীর্ঘদিন ধরে এই অভ্যাস চলতে থাকা মোটেই ভাল নয়।


নাসিকা গর্জনের কারণ 


শোওয়ার ভুল কায়দা - বালিশ ছাড়া শোওয়ার কারণে অনেকে নাক ডাকেন। তাই একটি হালকা বা বড় বালিশ ব্য়বহার করা যেতে পারে।


ঘুম কম হওয়া - কমবেশি রোজ ঠিকমতো ঘুম না হলে গলার পেশির মধ্যে বদল আসে। যার জেরে নাক ডাকার অভ্যাস তৈরি হয়।


ওজন বেশি - অতিরিক্ত ওজনের কারণেও অনেকের নাক ডাকার অভ্যাস তৈরি হয়। বেশি ওজন হলে গলার চারপাশে স্থুল হয়। এর জেরে টনসিল আর অ্যাডনয়েড বড় হয়। যার ফলে নাক ডাকা শুরু হয়।


মদ্যপান - নিয়মিত মদ্যপানের অভ্যাস থাকলে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।


কিছু নির্দিষ্ট ওষুধের জের - কিছু নির্দিষ্ট ওষুধের জেরেও এমনটা হতে পারে। ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমাতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।


নাসাপথ বন্ধ - সর্দি বা সাইনাসে নাক বন্ধ থাকলে মুখ খুলে যায়। মুখ দিয়ে শ্বাসবায়ু ফুসফুসে পৌঁছায়। এর ফলে নাক ডাকা শুরু হয়।


ধূমপান - অনেকের ধূমপান করার অভ্যাস থেকেও নাক ডাকা শুরু হতে পারে।


কী করলে নাসিকা গর্জন থেকে রেহাই ?


নাসিকা গর্জন থেকে রেহাই পেতে হলে প্রথমেই ব্যাপারটিকে গুরুত্ব দিতে হবে। অবজ্ঞা করে এড়িয়ে গেলে হবে না। 



  • ধূমপান কমাতে হবে।

  • মদ্যপানের অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।

  • ওজন কমানো একটি ভাল বিকল্প। এতে শুধু নাসিকা গর্জন নয়, আরও অনেক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

  • স্লিপ অ্যাপনিয়ার সমস্যা আছে কি না তা চিকিৎসকের কাছে গিয়ে জানতে হবে। চিকিৎসক সেই মতো প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে থাকেন।


ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


আপনার পছন্দের খবর এবার হোয়াটসঅ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন - Health Update: দূষণের জেরেই কি বাড়ছে ডায়াবেটিস ?